আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইজরায়েলর ওপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান । এই হামলার পরেই ইরানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইজরায়েলের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে আমেরিকাকে কয়েকদিন আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন যে তেহরান ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেনি। ইজরায়েলের ক্ষতি করার জন্যই এই হামলা চালান হয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, হামলা নিয়ে প্রতিবেশী দেশকে এবং ইজরায়েলি মিত্রদের ৭২ ঘণ্টার আগে থেকেই সর্তক করা হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ের সঙ্গেই কথা বলেছিল। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, “এটা একেবারেই সত্যি নয়। ৭২ ঘণ্টা আগে যোগাযোগ হলেও তেহরান কোন হামলা নিয়ে কথা বলেনি। “
উল্লেখ্য, ইরান শনিবার রাত থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ টির বেশি ব্যালেস্টাইন ক্ষেপাণাস্ত্র এবং ড্রোন ভূপতিত করেছে । ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এই হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েল বাহিনী জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইরান তাদের সীমান্ত থেকে ইজরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে ইউএভি নিক্ষেপ করেছে। তবে এই হামলায় ইজরায়েলের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
হঠাৎ কেন ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাল ইরান? ইজরায়েল ও ইরানের সমপর্ক বরাবরই শীতল। গাজায় গণহত্যা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে খুন নিয়ে তেল আভিভের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ইরান। পাল্টা হামাস ও হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে তেহরানকে বিঁধে চলেছে তেল আভিভ। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের একটি ভবনে হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ওই হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স আইআরজিসির দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ১১ জন আধিকারিক নিহত হন। ইজরায়েলের ওই হামলার মধুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেইনি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দূতাবাসে হামলাকে ইরানের মূল ভূখণ্ডে হানা হিসাবেই ধরে নেওয়া হবে। আর ইরানের ভূখণ্ডে হামলাকারীদের উপযুক্ত জবাব পেতে হবে।