আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইজরায়েলকে রক্ষা করতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে ইউএসএস কার্নিও রয়েছে। সম্প্রতি লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ রুখতে ওই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল মার্কিন নৌবাহিনী। বেশ কয়েকবার ভিন দেশি জাহাজ লক্ষ্য করে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা রুখে দিয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, ইজরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের রক্ষা করতে ওই যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইজরায়েল বান্ধব আমেরিকাকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরানও। তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইজরায়েলকে সঙ্গ দিলে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ইরান-ইজরায়েল লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অযথা নাক গলানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্তিত্বকেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, ইজরায়েলের উপরে হামলা চালানোর জন্য কমপক্ষে ১০০টি ড্রোন প্রস্তুত রেখেছে তেহরান। ওই ড্রোনের সাহায্যেই তেল আভিভ, জেরুজালেমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরিকল্পনা চলছে। ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে শুক্রবারই মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইরান যাতে ইজরায়েলের উপরে হামলা না চালায় তার জন্য একাধিক দেশের তরফে তেহরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেতে ইরানি দূতাবাসে আচমকাই হামলা চালায় ইজরায়েল। ওই হামলায় প্রায় ইরানি এলিট ফোর্স আইআরজিসির এক ডজন শীর্ষ আধিকারিক প্রাণ হারান।