আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালানোর মাঝেই নাম না করেই আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিল ইরান। ইজরায়েলে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিলে ইরান তার ভূখণ্ডে বড় ধরনের হামলা চালান হবে। পাশাপাশি ইজরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছে ওয়াশিংটন যদি ইরানের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় তাহলে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি জানিয়েছেন, ‘ইজরায়লের ওপর আমাদের অভিযান শেষ হয়েছে। আমাদের এখন আর হামলা চালানোর ইচ্ছে নেই। ‘ প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, , ইজরায়েল আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার দাবি ৯৯ শতাংশ হামলা প্রতিহত হয়েছে।
অন্যদিকে ইজরায়েলের ওপর হামলা নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইতিমধ্যে ইরানের হামলা নিয়ে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এই হামলা প্রসঙ্গে ইজরায়েল বাহিনী জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইরান তাদের সীমান্ত থেকে ইজরায়েলের দিকে লক্ষ্য করে ইউএভি নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক করে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
হঠাৎ কেন ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাল ইরান? ইজরায়েল ও ইরানের সম্পর্ক বরাবরই শীতল। গাজায় গণহত্যা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে খুন নিয়ে তেল আভিভের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ইরান। পাল্টা হামাস ও হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে তেহরানকে বিঁধে চলেছে তেল আভিভ। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের একটি ভবনে হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। ওই হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স আইআরজিসির দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ১১ জন আধিকারিক নিহত হন। ইজরায়েলের ওই হামলার মধুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেইনি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দূতাবাসে হামলাকে ইরানের মূল ভূখণ্ডে হানা হিসাবেই ধরে নেওয়া হবে। আর ইরানের ভূখণ্ডে হামলাকারীদের উপযুক্ত জবাব পেতে হবে।