আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হ্যাক হয়ে গেল ইরানের সরকারি প্রচার মাধ্যম। টিভিতে তখন সম্প্রচারিত হচ্ছিল নিউজ বুলেটিন। পর্দায় অ্যাঙ্করের মুখের বদলে দেখা গেল মাস্ক পরা একজনকে। সেই ছবির পর দেখা গেল ইরানের সুপ্রিম লিডার সাইদ আলি হোসেনেই খামেইনির ব্যঙ্গ চিত্র। খামেইনির ছবির পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। হ্যাকাররা ছোট্ট একটা ক্যাপশন জুড়ে দিয়েছে – আদালত আলি।
যদিও ইরান তাদের সরকারি প্রচারমাধ্যম হ্যাক হওয়া নিয়ে কিছু জানায়নি। হ্যাক হওয়ার খবর দিয়েছে ফ্রান্সের একটি গণমাধ্যম এবং ভিন দেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন। হ্যাক হয় শনিবার ঠিক ছয়টায় (স্থানীয় সময়)। কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচার বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরে অবশ্য পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের গুলিতে মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে তপ্ত ইরান। বোরখা না পরার অপরাধে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। লকআপে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাসা আমিনিকে লকআপে পুলিশ পিটিয়েছে। যদিও পুলিশ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা জানায়, এমনিতেই অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। তারা অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তি চেয়ে রাস্তায় নেমেছে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আন্দোলনকারীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিবাদের নামে এই গুন্ডামি সরকার বরদাস্ত করবে না। পুলিশ লকআপে আমিনির মৃত্যুর উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।