নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: আদালত চত্বর থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারি অবৈধ কিনা, তা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কোনও রায় দিল না ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে চলা শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখ। তবে পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘যদি মনে করি ইমরান খানকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাহলে অবিলম্বে মুক্ত করার নির্দেশ দেব।’
এদিন দুপুরে হাজিরা দেওয়ার মুখে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বায়োমেট্রিক রুম থেকে মারধর করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা। আদালত চত্বর থেকে ইমরানকে গ্রেফতারের খবর জানতে পারার পরেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক। কিন্তু ৪৫ মিনিট বাদে হাজির হন ইসলামাবাদের আইজি । তাতে চটে গিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। ১৫ মিনিটের মধ্যে হাজির হতে বলেছিলাম। আমি ৪৫ মিনিট পরে এসেছেন।’ বিচারপতির তোপের মুখে পড়ে ইসলামাবাদের আইজি জানান, ‘ইমরান খানের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন।’
ওই কথা শোনার পরে প্রধান বিচারপতি আরও চটে যান। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আজ আপনারা যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা আসলে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকেই চ্যালেঞ্জ জানানো। আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেবেন না।’ এর পরেই দুর্নীতি দমন কমিশনের ডিজি ও সংস্থার আইনজীবীকে আধ ঘন্টার মধ্যে এজলাসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।