আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শালীনতা আর মানবিকতার সব সীমা লঙ্ঘন করে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মদতপুষ্ট ইজরায়েলের খুনি সেনাবাহিনী। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ঢুকে মহিলাদের বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি যৌন হেনস্থাও চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনারা। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের একটি ঘরে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে। তাদের খাদ্য এবং পানীয় জলটুকু পর্যন্ত সরবরাহ করা হচ্ছে না।
‘আলজাজিরা’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত ১৫ নভেম্বর আল শিফা হাসপাতালে বিশেষ অভিযান চালায় ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল নিজেদের কব্জায় আনার পরেই কার্যত নিজেদের কুৎসিত চেহারাটা প্রকাশ করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ইজরায়েলি সেনারা। শনিবারই হাসপাতাল চত্বর ছাড়ার জন্য স্থানীয়দের এক ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল ইজরায়েল সরকার। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই সাদা পতাকা হাতে নিয়ে হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে যেতে শুরু করেন। কিন্তু ফিলিস্তিনি মহিলারা ইজরায়েলি সেনাদের যৌন লালসার শিকার হয়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে মহিলাদের পুরো উলঙ্গ হয়ে ঘন্টার পরে ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তল্লাশির নাম করে মহিলাদের অশ্লীলভাবে স্পর্শ করার পাশাপাশি গোপনাঙ্গের ছবিও তুলেছে ইজরায়েলি জল্লাদরা। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হলে যৌন নির্যাতনও চালাচ্ছে।’
আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে থাকা ‘আলজাজিরার’ সাংবাদিক জিহাদ আবু শানাবের কথায়, ‘ফিলিস্তিনি মহিলাদের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনারা যে আচরণ করেছে তা সভ্য সমাজে অকল্পনীয়। শুধু ধর্ষণ বাকি রয়েছে। বাকি সব ঘটনাই ঘটছে।’ হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া জানিয়েছেন, ‘ইজরায়েলি সেনারা হাসপাতালটিকে একটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত করেছে। শয়ে শয়ে মূমূর্ষ রোগী চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।’