নিজস্ব প্রতিনিধি : কন্যা হত্যার দায়ে আজীবন কারাদণ্ড হল এক পাকিস্তানি দম্পতির। পাকিস্তানি দম্পতিকে এই সাজা শুনিয়েছে ইতালিয় কোর্ট। ২০২১ সালের মে মাসে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর মা-বাবার বিরুদ্ধে। ওই কিশোরী অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে রাজি না হওয়ায় হত্যার পরিকল্পনা করে তাঁর মা-বাবা। এদিন অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সাজা শোনাল আদালত।
এদিন মধ্য ইটালির রিগিও এমিলিয়ার ট্রাইবুনাল এই পাকিস্তানি দম্পতিকে সাজা শুনিয়েছে। ১৪ বছরের আজীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২১ সালে মেয়ের হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁর মা-বাবা।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ১৮ বছর বয়সি সামান আব্বাস তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান। পরিকল্পনা ছিল, পাসপোর্ট নিয়ে সে তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে পালিয়ে যাবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি সামানের। কিছুদিনের মধ্যে সামান নিখোঁজ হয়ে যায়। এই খবর জানতে পারে পুলিশের কাছে নালিশ জানায় সামানের বয়ফ্রেন্ড। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু সামানের খোঁজ পায়নি। এরপর সামানের বাবা-মা পাকিস্তানে পালিয়ে যায়।
এরপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক বছর পর সামানের মৃতদেহ খামারবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সামানের খুড়তোতো ভাই তাঁর দিদির হত্যার কথা তাঁর বাবা-মার মুখ থেকে শুনেছিলেন। মা-বাবাকে এই নিয়ে আলোচনা করতে শুনেছেন সামানের ভাই। এরপরই সাব্বার আব্বাসকে পুলিশ গ্রেফতার করে ও তাঁকে গত আগস্ট মাসে তাঁকে ইটালিতে নিয়ে আসেন। কিন্তু মেয়েটির মা নাজিয়া শাহিনকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তিনি এখনও পলাতক রয়েছেন।