আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভবিষ্যতের নাগরিকদের দিশা দেখানোর ও নৈতিকতা শেখানোর গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। অথচ তিনিই জড়িয়ে পড়েছিলেন অনৈতিক কাজের। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে একের পর এক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করার অপরাধে বুধবার মরক্কোর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে দেশটির আদালত। যদিও নির্যাতিতা পড়ুয়াদের পরিবারের অভিভাবকরা অভিযুক্তের সাজায় খুশি নয়। তাঁদের অভিযোগ, গুরু পাপে লঘু দণ্ড দেওয়া হয়েছে কুলাঙ্গার শিক্ষককে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’ জানিয়েছে, ‘সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরের হাসান আই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষকের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক সম্বলিত এসএমএসের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। ফাঁস হওয়া এসএমএস অনুযায়ী, অভিযুক্ত কুলাঙ্গার শিক্ষক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের নামে ছাত্রীদের ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি আদালতে গড়ায়। বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষককে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাতে গিয়ে বিচারক বলেছেন, একজন শিক্ষক হয়েও অভিযুক্ত যে আচরণ করেছেন, তা অশোভনীয়, সহিংস ও যৌন হয়রানিমূলক।’
শুধু ওই শিক্ষকই নয়, আরও চার শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যভিচারে উসকে দেওয়া, লিঙ্গবৈষম্য ও মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ রয়েছে। একের পর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মতো অভিযোগ ওঠার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য বলছেন, যে সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, তা সিন্ধুতে বিন্দুর মতো। প্রচুর সংখ্যায় যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু পারিবারিক সম্মান রক্ষার দোহাই পেড়ে ওই সব ঘটনা নিয়ে হইচই করা হয় না। পরিবারের ক্ষতি হতে পারে-এমন আশঙ্কায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হয়।