নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী করে তুলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। আর ওই সামাজিক প্রকল্পের রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড ঘরে তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের কাছে চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। গত কয়েক মাস ধরেই লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুঙ্কার ছুড়ে চলেছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। শনিবার বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার কোনও ভাবেই বন্ধ হবে না।’
এদিন দুবরাজপুরের সভায় লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিজেপি নেত্রী দীপা চক্রবর্তীর বক্তব্যের অডিয়ো শোনান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার পরেই বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার বাংলার মা-বোনেদের কাছে আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তা হজম হচ্ছে না বিজেপির। বিজেপির এক নেত্রী ১০ দিন বলেছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওই নেত্রীর মন্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ব্যবস্থাও নেয়নি। তার মানে, ওই নেত্রীর মন্তব্যে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। কিন্তু আপনাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই। লক্ষ্মীর ভান্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা চালু করেন, তা বন্ধ হয় না।’
আবাস যোজনায় বাংলার প্রাপ্য আটকে রাখা হয়েছে বলে মোদি সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘বাংলার বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে না পারার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। কিন্তু তাতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলেও এ বছরের মধ্যে রাজ্য সরকার সকলকে বাড়ির টাকা দিয়ে দেবে।’
বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রথমে যার নাম ঘোষিত হয়েছিল, সেই প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে খানিকটা কটাক্ষের সুরে অভিষেক বলেন, ‘এখনও কেউ জানে না এখানে বিজেপির প্রার্থী কে? । যিনি প্রথমে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি সরকারের আবর্জনা। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। বিজেপির টিকিট পেয়ে উনি তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। মা সুবিচার করেছেন।’