আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফ্রান্সের পার্লামেন্ট পাস হয়েছেন নতুন অভিবাসন আইন। আর সেই আইন গত ১৯ ডিসেম্বর পাশ হওয়ার পর থেকেই ফ্রান্স জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আগামী ২৫ জানুয়ারি নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে রায় দেবে ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল। আর এই রায়দানের আগেই ফ্রান্স জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। সাংবিধানিক কাউন্সিল হল ফ্রান্সের একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
প্যারিসের রিপাবলিক চত্বরে নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখান। ফ্রান্সে চলছে শৈত্যপ্রবাহ সেই পরিস্থিতিতে উপেক্ষা করে তারা বিক্ষোভ করে। এই আইন নিয়ে প্যারিস অঞ্চলের ভিত্রি-সুর-সেইন এলাকায় শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থার কর্মী আবুবাকার দেম্বেলে বলেছেন,’আমাদের জীবন বিপন্ন করতে এবং অপরাধীদের দোষীসাব্যস্থ করতে এই আইন পাস করা হয়েছে।‘বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, এই নতুন আইন কট্টর ডান আদর্শ। প্যারিস ছাড়াও লিও, স্ট্রসবুর্গ, বর্দু, রেন, লিল, মার্সেই এবং তুলুজের মতো শহরে বিক্ষোভ হয়েছে৷ আগামী ২১ ডিসেম্বর নতুন অভিবাসন আইনের জন্য অভিবাসন সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন এবং রাজনৈতিক দলসহ ৪০০টিরও বেশি সংগঠন সমাবেশের ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি ফ্রান্স জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে ফ্রান্স জুড়ে শুরু হবে যানজট।
নতুন এই অভিবাসন আইনে কি রয়েছে ? এই আইনে বলা হয়েছে শরণার্থীরা বাসস্থান তৈরি করার অনুমতি যত সহজে পেতেন এই নতুন আইনে তা পেতে অনেক সময় লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশ থেকে আশা শরণার্থীর জন্য নিয়ম একই থাকবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের না হলে ফ্রান্সে বাড়ি কেনার জন্য পাঁচ বছর সময় লাগবে। মাইগ্রেশন কোটাও তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে শরণার্থী শিশুদের ফরাসি নাগরিকত্ব পেতে অসুবিধা হবে। আর তাই এই নয়া আইন নিয়ে ফ্রান্স জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তবে ২৫ জানুয়ারি নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল কি রায় দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে আছে গোটা রাজ্যবাসী।