আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্ষবরণের আনন্দোৎসব পরিণত হল বিষাদে। বর্ষবরণ উৎসব পালনের সময়ে শূণ্যে নির্বিচারে গুলি ছোড়ার ঘটনায় এক কিশোর মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্দেশিকা অমান্য করে বর্ষবরণের নামে যাঁরা বেলেল্লাপনাতে মেতে উঠেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানে গত কয়েক বছর ধরেই ইদ, বর্ষবরণ, স্বাধীনতা দিবস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে শূণ্যে নির্বিচারে গুলি ছোড়াটা রীতি হয়ে উঠেছে। আর তার ফলে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের বর্ষবরণে যাতে আতশবাজি না পোড়ানো হয় এবং আকাশের দিকে গুলি ছোড়া না হয় তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে করাচি পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারিও করা হয়েছিল।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাতে কর্ণপাতই করেননি সাধারণ মানুষ। বরং শুক্রবার রাতে করাচির বিভিন্ন প্রান্তে আতশবাজি পোড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিলেন। সেই সঙ্গে নির্বিচারে শূণ্যে গুলিও ছুড়েছিল। সেই গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জিন্নাহ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ বছর বয়সী আলী রাজা নামে এক কিশোর মারা যায়। নিহত কিশোর উত্তর করাচির বাসিন্দা।