আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মার্কিন বিমানবাহিনীর এক কৃষ্ণাঙ্গ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে পুলিশ। নিহত কর্মকর্তার পরিবারের একজন আইনজীবীর তথ্য থেকে জানা যায়, বুধবার (৮ মে) নিহত হয়েছেন ২৩ বছর বয়সী রজার ফোর্টসন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, পুলিশ অপরিচিত একটি নম্বর থেকে বারবার ফোন পেয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভুল করে রজার ফোর্টসনের ইউনিটে ঢুকে পড়েন আর তার হাতে একটি বন্দুক দেখতে পান। এতে কোনকিছু না ভেবেই তাঁরা ওই বিমান কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেন।
জানা গেছে ফোর্টসনের বসয় মাত্র ২৩ বছর। আর তিনি হার্লবার্ট ফিল্ডের বিশেষ অপারেশন শাখায় ছিলেন। যখন তাকে গুলি করা হয় তখন তিনি ফোর্ট ওয়ালটন বিচে তার অফ-বেস অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন। এই বিষয় নিয়ে এক বিবৃতিতে নাগরিক অধিকার বিষয়ক আইনজীবী বেন ক্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন পুলিশ যখন ফোর্টসনকে হত্যা করেন তখন তিনি এক নারীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন।
ভিডিও কলে থাকা সেই নারী আইনজীবী বেন ক্রাম্প কে জানিয়েছেন, ফোর্টসন যখন তার দরজায় ঠকঠক শব্দ শুনতে পান তখন তিনি অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন।তিনি জানতে চান বাইরে কে? কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। এর কয়েক মিনিট পরে, ফোর্টসন জোরে ধাক্কা দেওয়ার শব্দ শুনতে পান। এমনকি দরজায় পিপহোলে তাকিয়েও কাউকে দেখতে না পাওয়ায় বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ফোর্টসন। এরপর তিনি বন্দুক হাতে দেখতে যাচ্ছিলেন বাইরে কে ?
শুধু তাই নয় ঐ নারী আরও জানান যে, এই বন্দুকটি বেআইনি নয়, ঐ বন্দুকটি’র আইনত মালিক ছিলেন ফোর্টসন নিজে।ক্রাম্পের বিবৃতি অনুসারে, ফোর্টসন তার বসার ঘরে ফিরে যাওয়ার সময়, ডেপুটিরা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বন্দুক হাতে দেখে ছয়টি গুলি করেন।গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফোর্টসন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বলেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফোর্টসন একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।