নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক ৬ নভেম্বর। বুধবার দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজাকে পাঠানো চিঠিতে এমনই সুপারিশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। যদিও রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের মেয়াদ ছিল ১২ অগস্ট। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিনদিন আগে ৯ অগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ওই সুপারিশ মেনে ৯ অগস্ট জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। ভোটের প্রস্তুতির জন্য বাড়তি সময় যাতে পাওয়া যায় তার জন্যই তিন দিন আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী। কেননা, পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণ হওয়ার পরে জাতীয় সংসদ ভাঙা হলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। অর্থাৎ ১২ তারিখ সংসদ ভঙ্গ হলে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করাতে হত। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে ভোট করানোর জন্য ৯০ দিন সময় পাওয়া যায়। ৯ অগস্ট জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ায় আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে ভোট করাতে হবে।
নির্বাচন ঘিরে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে তার জন্য ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বালুচিস্তান আওয়ামী পার্টির নেতা আনোয়ার উল কাকারকে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও সংসদ ভেঙে দেওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও কবে ভোট করানো হবে, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী ২১ অক্টোবর দীর্ঘ চার বছর পলাতক থাকার পরে পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াসজ শরিফের। তিনি ফিরে আসার পরেই নির্বাচন চাইছে পাক সেনাবাহিনী।