এই মুহূর্তে




অপারেশন সিঁদুরে প্রাণ যাওয়া ‘নিরীহদের’ কান্নায় ভেঙে পড়লেন পাক উপস্থাপিকা, ভাইরাল ভিডিও




আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ইসলামাবাদ: পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় পহেলগাঁওয়ে সিঁদুর মুছেছিল ২৫ জন ভারতীয় নারীর। এক স্থানীয় ভারতীয় কাশ্মীরি মুসলিমের মৃত্যুতে স্বামীহারা হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। এই সকল নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও মৃতদের প্রতি সম্মান জানিয়েই ৬মে গভীর রাতে পাকিস্তানের উপর করা হয়েছে মিসাইল স্ট্রাইক। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ারস্ট্রাইকের পর ‘অপারেশন সিন্দুর’। তারপরেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে । তারপর থেকে ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে হাসির রোল।

ভিডিওটি একজন পাকিস্তানি সংবাদ উপস্থাপকের। তিনি টেলিভিশনে লাইভ করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর এই শোক ভারতের করা অপারেশন সিঁদুরকে ঘিরে। ভিডিওটিতে উপস্থাপককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর পাকিস্তানে যে প্রাণহানি হয়েছে তার জন্য তিনি শোক প্রকাশ করছেন। আবেগপ্রবণ কণ্ঠে ওই উপস্থাপক তাঁর নির্লজ্জ দেশের উপর ভারতের করা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘নিরীহ মানুষের আত্মা’দের জন্য ঈশ্বরের কাছে শক্তি ও করুণা প্রার্থনা করেছেন।

২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত অপারেশন সিঁদুরের অধীনে ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই আবেগপ্রবণতাকে ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত কর্তৃক পরিচালিত সবচেয়ে তীব্র এবং সমন্বিত সন্ত্রাসবিরোধী হামলাগুলির মধ্যে একটি অপারেশন সিঁদুর। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর মিলিত অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) নয়টি গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়। এই স্থানগুলি জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

 

গভীর রাতে চালানো বিমান হামলা প্রায় ২৩ মিনিট স্থায়ী হলেও পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্য রকমের ক্ষতি হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের মতে, হামলায় ৮০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ সব অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে ছিল ভাওয়ালপুরের একটি মসজিদ যেটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধান সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল।

অপারেশন সিঁদুর যে কেবল সামরিক প্রকৃতির ছিল তা নয়, সঙ্গে ছিল গভীরভাবে প্রতীকীও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এর নামকরণ করেন ‘সিঁদুর’। হিন্দু সধবা মহিলাদের প্রতীক হল সিঁদুর। এই নামকরণের উদ্দেশ্য ছিল পহেলগাঁওয়ে যে নারীরা তাঁদের সিঁদুর চিরতরে হারিয়েছেন তাঁদের ও মৃতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পাকিস্তানে ফের আক্রমণের প্রস্তুতি ভারতের, এবার কীভাবে দেখুন….

তিন বছর লড়াই শেষে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে ইউক্রেন ও রাশিয়া

মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়দের কপালে ভাঁজ, ট্রাম্প শাসনে বসছে ৫% কর

বিদ্যা বালন ডিনারের আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ায় শুটিং আটকে দিয়েছিলেন মন্ত্রী বিজয় শাহ

ফের কোভিড নিয়ে উদ্বেগ সিঙ্গাপুর ও হংকং’য়ে, হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

ভারতীয় সেনার ভয়ে রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর