নিজস্ব প্রতিনিধি, হিরোশিমা: জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে শনিবারই হিরোশিমায় পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনস্কি। আর হিরোশিমায় পৌঁছেই দেখা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হলেন।
হিরোশিমায় জি-৭ বৈঠকে কীভাবে রাশিয়াকে ‘সবক’ শেখানো যাবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা হওয়ার কথা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকরা হাজির হয়েছেন। জি-৭ সদস্য না হওয়া সত্বে যেমন ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তেমনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র যাতে পাওয়া যায় সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
গত বছর কিয়েভের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পরে বেশ কয়েকবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। রাশিয়াকে যুদ্ধ থামানোর জন্য তিনি যাতে অনুরোধ করেন মোদিকে সেই আর্জিও জানিয়েছিলেন। গত মাসেই সাহায্যের আর্জি নিয়ে নয়াদিল্লিতে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের উপ বিদেশমন্ত্রী এমিনে জাপারোভা। রাশিয়ার লাগাতার আক্রমণে বিপর্যস্ত কিয়েভকে চিকিৎসা সরঞ্জাম সহ মানবিক সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছিলেন। এমনকী নিজের চোখে যাতে রাশিয়ার ধ্বংসলীলা দেখতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কিয়েভ সপর করেন সেই আর্জিও জানিয়েছিলেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহ রুশ বিরোধী একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভের মাটিতে পা রাখলেও পাছে মস্কো চটে যায় এই আশঙ্কায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনমুখো হননি।