আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। আশঙ্কা সত্যি হল।
রুশ সেনাকে পূর্ব ইউক্রেনে ঢুকে পড়ার নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিবিসি-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অবস্থায় রুশ সরকার বিরোধী বিক্ষোভ যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন তাদের সঙ্গে রফা করেছেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, ‘এই চুক্তি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ওরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে বিবেচনা করেই আমি চুক্তিতে সই করেছি।’
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অন্যদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জাতিসঙ্ঘ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই নির্দেশে আন্তর্জাতিকমহলে রীতিমতো শঙ্কিত। আমেরিকা ও তাদের মিত্রশক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জোট গঠন করেছে। একাধিক সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মে বলা হয়েছে, আমেরিকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশও এবার ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কড়া ভাষায় পূর্ব ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রতিবাদে সরব ব্রিটেন, জার্মানি-সহ একাধিক দেশ।
আমেরিকা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ইউক্রেনের ওপর রুশ আগ্রাসন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি তারা এটাও জানায়, সীমান্ত থেকে মস্কোর সেনা প্রত্যহারের দাবি নির্জলা মিথ্যে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিকমহলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। আর রাশিয়া যে ইউক্রেনের ওপর যে কোনও মূহূর্তে হামলা চালাবে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় সোমবার সিকিউরিটি কাউন্সিলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে প্রেসিডেন্ট পুতিনের স্বাধীন ঘোষণার সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন ১৯৪৫-য়ের পর বড় যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েছে রাশিয়া, দাবি বরিসের