আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শনিবার রাতে অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যূত হয়েছেন। এরই প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের কর্মী, সমর্থক ও নেতারা। পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফওয়াদ চৌধুরী বিক্ষোভের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
পাক রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়। প্রথমে বিক্ষোভকারীরা জমা হন। পাক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে থাকেন। মিছিলের জেরে ইসলামাহবাদের শ্রীনগর রোডের ওপর ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পেশোয়ারে মহিলা শিশু সহ বহু সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা সামরিক বাহিনীকে কটাক্ষ করে বিক্ষোভ দেখান। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ।
পঞ্জাব প্রদেশে লাল হাভেলি থেকে ইমরানের সমর্থনে জমায়েত ও বিক্ষোভ হয়। সেই সময় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও আওয়াজ উঠতে থাকে। তবে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা কর্মী, সমর্থকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চলবে। ইদের পর লাল হাভেলি থেকে জেল ভরো আন্দোলন শুরু করা হবে। করাচি, লাহোর সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর বিক্ষোভে কেঁপে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ছেন পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী।তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের এই বিক্ষোভ স্বতস্ফূর্ত।
বিক্ষোভের পাশাপাশি পিটিআইয়ের কর্মীরা শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, শাহবাজ শরিফ নিজে দুর্নীতিগ্রস্থ। তিনি যে আর্থিক কেলেঙ্কারি করেছেন, তার দায় এড়াবেন কী করে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের বিরোধীরা শাহবাজ শরিফকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছে। তিনি সরকারিভাবে সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন।