আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চারিদিকে শুধু সার সার মৃতদেহ। ঘর-বাড়ি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। তার তলায় চাপা পড়ে কারও মুখ। কারও বা গোটা শরীরর চাপা পড়ে রয়েছে। একদিকে উদ্ধারকারী দলের ব্যস্ততা। অন্যদিকে, নিকটজন তাঁর হারিয়ে যাওয়া মানুষটিকে খোঁজার জন্য পাগলের মতো ছুটে চলেছে। স্ত্রী খুঁজছে তাঁর স্বামীকে। বাবা তাঁর পুত্র বা কন্যাকে। সময় যত গড়াচ্ছে, মৃতের সংখ্যা তত বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত তুরস্কের কম্পনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে আট হাজার।সংখ্যাটা ১৮ হাজার হলেও কেউ অবাক হবে না। প্রকৃতির এই ধ্বংসলীলা দেখে বিশ্ব বাকরুদ্ধ।
তুরস্ককে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ সামগ্রী তুরস্কে আঙ্কারায় পৌঁছতে শুরু করেছে।উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি। যারা ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে যাদের জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে, তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। স্বজন হারানোর আর্তনাদ চাপা পড়ছে সাইরেনের শব্দে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় জানিয়েছেন, এই ধ্বংসলীলা দেখে তিনি বাকরুদ্ধ।
শুধু এরদোয়ান নন, কার্যত স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। এক রাতের কম্পন তুরস্কের চেহারাই বদলে দিয়েছে। তুরস্কের অর্থনীতি অনেকটাই মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। তুলনামূলকভাবে সঙ্কেট দীর্ণ সিরিয়ার অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। এখনও পর্যন্ত সিরিয়া থেকে ১৯০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে, আশঙ্কা প্রশাসনের। দশ প্রদেশের বিরাট এলাকাজুড়ে ভূমিকম্প আঘাত হানায় উদ্ধারকাজে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি সংস্থা।