নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: ভিখারি পাকিস্তানের কঙ্কালসার চেহারাটা ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে তেল আমদানি করতে না পারায় জ্বালানির ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একের পর এক পেট্রল পাম্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পেট্রল-ডিজেলই নয়, মিলছে না গ্যাসোলিন। ফলে সিএনজি চালিত যানবাহনও রাস্তায় নামতে পারছে না। যে পাম্পগুলিতে জ্বালানি মিলছে সেখানে পাগলের মতো ছুটছেন সাধারণ মানুষ। ফলে ওই সমস্ত পাম্পগুলিতে চার চাকা ও দুই চাকার গাড়ির দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও দেশে জ্বালানি তেলের সঙ্কট নেই বলে দাবি করেছেন জ্বালানি মন্ত্রী মুসাদিক মালিক। সেই সঙ্গে জ্বালানি নিয়ে কেউ কালোবাজারি চালালে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
লুঠেরা হিসেবে কুখ্যাত শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে গত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তিনশো কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভিক্ষার থলি নিয়ে বিভিন্ন দেশের দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে সেনাপ্রধান। কিন্তু দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়ানো পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য দিতে রাজি হচ্ছে না আইএমএফ সহ আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। ডলারের অভাবে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দেশে মজুত জ্বালানির ভাণ্ডার তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারী খাজা আতিফ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর সহ অধিকাংশ বড় শহরের পেট্রল পাম্পগুলি জ্বালানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সিএনজি ও গ্যাসোলিনও অপ্রতুল। যে সামান্য কয়েকটি পাম্পে জ্বালানি রয়েছে সেখানে গাড়ির লম্বা লাইন পড়েছে। পেট্রল-ডিজেল ভরার জন্য দুদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু গাড়ির চালক ও মালিক।