আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্টেডিয়ামে চলছিল স্থানীয় দুই ক্লাবের ফুটবল ম্যাচ। ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তাদের পাশাপাশি কয়েকজন তরুণী ছিলেন। তালিবানদের কানে খবর যায়। বেশ কয়েকজন তালিবান নেতা ওই স্টেডিয়ামে পৌঁছয়। তাদের হাতে ছিল চাবুক। স্টেডিয়াম থেকে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তোলে স্থানীয় আদালতে। আদালতে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়। শাস্তি হিসেবে আদালত ঘোষণা করে চাবুকের মার। আদালত থেকে টানতে টানতে তাদের বের করে এনে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে চাবুক দিয়ে পেটাতে থাকে। একবার বা দুই বার নয়, চল্লিশবার তাদের চাবুক দিয়ে মনের সুখে পিটিয়েছে তালিবানরা। সেই সঙ্গে দিতে হয়েছে নাকখত। তালিবাদের তারা এই বলে আশ্বাস দিয়েছে, যে আগামীদিনে তারা এই ভুল আর করবে না। আদালতের বাইরে যখন চলছে শাস্তি প্রক্রিয়া, সেই সময় সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধির কানে খবর যায়। তারা দ্রুত সেখানে হাজির হয়। তালিবানরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কেউ যেন ছবি তোলার সাহস না দেখায়। যদিও এক চিত্র সাংবাদিক লুকিয়ে চাবুক দিয়ে মারার ছবি তুলে ফেলেন। আপলোড করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তালিবানরা এখন সেই সাংবাদিকের খোঁজ শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, এই তরুণ-তরুণীদের একেকজনকে খেতে হয়েছে কম করেও ২০ বার চাবুকের মার। কাউকে ৪০ বার। চাবুকের মারে বেশ কয়েকজনের পিঠ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। তবুও মার বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুন তালিবানদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের তিন মহিলা কর্মীকে আটকে রাখার অভিযোগ