আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজনৈতিক পালাবদলের পরে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পরেই কুঁকড়ে পড়েছিলেন কাবুলিওয়ালার দেশের মহিলারা। কেননা, নব্বইয়ের দশকে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পরেই কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্যদের হাতে অমানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন মহিলারা। তালিবানরা ক্ষমতায় ফিরতে অনেকেই দেশ ছেড়ে ভিন দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। যদিও বার বার তালিবানের বর্তমান নেতৃত্ব নিজ দেশের মেয়েদের আশ্বস্ত করেছে। তা যে কথার কথা নয়, কয়েক দিন আগেই তা বোঝা গিয়েছিল। মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। এবার কাবুলের এক কারাগার থেকে ১৪ মহিলা বন্দিকে মুক্তি দিয়ে ফের নিজেদের উদারতা প্রমাণ করল তালিবান সরকার।
শুক্রবার আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ‘খামা প্রেস এজেন্সি’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্ষমতায় ফেরার পরেই দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা মহিলা বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে এক কমিটি গঠন করেছিল তালিবান সরকার। পাঁচ সদস্যের কমিটির মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার কাবুলের কারাগার থেকে ১৪ মহিলা কয়েদিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ তালিবান সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
অন্তর্বর্তী তালিবান সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার নার্কোটিক কমিটির সদস্য মৌলাই আব্দুল হক জানিয়েছেন, ‘দেশের সব কারাগারে বন্দি থাকা মহিলা কয়েদিদের মুক্তির বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তারা বেআইনি এবং শরিয়া আইনের পরিপন্থী কাজকর্ম না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’ রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই কম লঘু অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত বেশ কয়েজকজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল তালিবান সরকার।