নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অথচ সেই প্রতিবাদে সামিল খোদ প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের সমবেতনের দাবিতে দিকে দিকে বিক্ষোভ চলছে। তাঁদের পাশেই দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। এমন মজার ঘটনাই ঘটেছে আইসল্যান্ডে। লিঙ্গভিত্তিক অসমতার বিরুদ্ধে পথে নেমেছে সেদেশের কয়েক হাজার নারী। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ক্যাট্রিন জ্যাকবসদিত্তি বিক্ষোভকারীদের দাবিতে সহমত পোষণ করে পাশে দাঁড়ালেন।
১৯৭৫ সালের পর আইসল্যান্ডে এই প্রথম মহিলাদের পূর্ণদিনের ওয়াকআউট। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিভাগে লিঙ্গবৈষম্যের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহিলারা। বিক্ষোভটির নাম “কভেনাফ্রি” বা নারীদের কর্মবিরতি। সকলকে এইদিন কর্মবিরতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি এই দিন কাজ করব না, যেমন আমি আশা করি মন্ত্রিসভায় থাকা সমস্ত মহিলারাও তাই করবেন। আমরা এখনও সম্পূর্ণ লিঙ্গ সমতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি এবং আমরা এখনও লিঙ্গ-ভিত্তিক বেতন পার্থক্যের মোকাবিলা করছি। ২০২৩ সালে পৌঁছেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই আমার জন্য অগ্রাধিকার পায়। সরকার মোকাবেলা করবে।”
এই বিক্ষোভকে আইসল্যান্ডের সর্ববৃহৎ পাবলিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ফেডারেশন, ফেডারেশন অফ দ্য পাবলিক ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ইন আইসল্যান্ড (বিএসআরবি), আইসল্যান্ডিক নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন এবং আইসল্যান্ডিক অ্যাসোসিয়েশন অফ উইমেন অ্যাসোসিয়েশন সহ অন্যান্য কর্মী সংস্থাগুলি সমর্থন জানিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) দ্বারা টানা ১৪ বছর ধরে লিঙ্গ সমতার জন্য আইসল্যান্ড সেরা দেশ হিসাবে স্থান পেয়েছে। ১৯৭৫ সালে এই ধরনের কর্মবিরতি হয়েছিল। যার ফলে আইসল্যান্ডের সংসদ সমান বেতন আইন পাস করে।