নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: দেশজুড়ে চলা সরকার বিরোধী আন্দোলন বাগে আনতে শেষ পর্যন্ত চরম পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করলে কিংবা বিক্ষোভের নামে কাউকে হেনস্তা করলে সরাসরি গুলি চালাবে সেনাবাহিনী।’ রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে বিক্ষোভ দমনের জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা বাদেই এমন হুঁশিয়ারি দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিরোধী দলের নেতারা মনে করছেন, মূলত দেশে সেনাশাসনের পথ প্রশস্ত হচ্ছে। সেনাবাহিনী যে কোনও সময়ে ক্ষমতা দখল করতে পারে।’
আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় সোমবার থেকেই সরকার বিরোধী আন্দোলন কার্যত হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনায় এক সাংসদ সহ সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। জনরোষের মুখে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত হননি। উল্টে কার্ফু উপেক্ষা করে রাজপথে নেমেছেন তারা। শাসকদলের সাংসদ-মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সরকারের সমর্থকদের ধরে মারধোর শুরু করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পরে দেসের রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবি তুলেছেন।
বিক্ষোভ দমাতে মঙ্গলবার সকালেই সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। ওই ক্ষমতাবলে বিনা পরোয়ানাতেই যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার অধিকার পেয়েছে সেনা ও পুলিশ। আর সেই অধিকার পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালালে সরাসরি গুলি চালাবে নিরাপত্তা রক্ষীরা। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেই হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার বিরোধীরা।