আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইজরয়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন করতে চায় তুরস্ক। এই সংঘাতের যুদ্ধ বিরতি হলে গাজার স্কুল,হাসপাতালসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির পুনর্গঠন করবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সম্প্রতি জার্মানি সফর থেকে নিজের দেশে ফিরেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। আর দেশে ফিরেই এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইজরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ করেছে, যুদ্ধ বিরতি হলে সেসব ঠিক করার জন্য আমাদের যা যা করার তা করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজার ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্কুল, হাসপাতাল, জ্বালনি ব্যবস্থা পুনর্গঠনের চেষ্টা করবো।’
গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস- ইজরায়েলের যুদ্ধে বিদ্ধস্ত হয়েছে গাজা। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল। কিন্তু যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে একাধিক দেশ। এবার বিদ্ধস্ত গাজার পাশে দারাচ্ছে তুরস্ক।
গত শুক্রবার জার্মানি সফরে গিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোয়ান। সেখানে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য জার্মানিকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানালে তা নাকচ করে দেন জার্মান নেতা। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেই সমালোচনার মুখে পড়েন দুজনই। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক ইসরাইলকে বিশ্বের সামনে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় প্য়ালেস্তাইনের হামাস গোষ্ঠী। এর পাল্টা জবাবে টানা ৪৪ দিন ধরে গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনারা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) হামাস জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ১২ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু। আর নারী তিন হাজার ৩০০ জন।