নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: কোষাগারের দশা ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’। তবুও দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (Ousted President) গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksha) পালিয়ে বেড়ানোর খরচ জুগিয়ে চলেছে রনিল বিক্রমসিংহের (Ranil Wickremsinghe) সরকার। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রি পরিষদের মুখপাত্র (Cabinet spokesman Minister) বন্দুলা গুণাবর্ধনে (Bandula Gunawardana)। আর তাঁর ওই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পরেই ফের ক্ষোভে গর্জে উঠেছে সাধারণ মানুষ।
গত কয়েক মাস ধরেই চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের মানুষ। স্বাধীনতার পরে নজিরবিহীন আর্থিক সঙ্কটের জন্য দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার রাজাপক্ষদেরই দায়ী করেছেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে গত ১৪ জুলাই রাতারাতি দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রথমে কলম্বো থেকে পালিয়ে মলদ্বীপে যান তিনি। সেখান থেকে পালিয়ে সিঙ্গাপুরে। গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। একের পর এক দেশে পালিয়ে বেড়ানো প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের চার্টার্ড বিমানের খরচ কে জোগাচ্ছেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
ওই চর্চার মাঝেই এদিন মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র বন্দুলা গুণাবর্ধনে জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে থাইল্যান্ড যেতে যে চার্টার্ড বিমান ব্যবহার করেছেন, তার খরচ বহণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। যেখানে সরকারি কোষাগারের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী, সেখানে কেন গোতাবায়ার পালিয়ে বেড়ানোর খরচ জোগানো হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। প্রেসিডেন্ট এনটাইটেলমেন্ট অ্যাক্ট নম্বর ৪ ১৯৮৬ এর আওতায় তাদের ভাতা দেওয়া হয়। এই আইনের আওতায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা ও শ্রীমতি হেমা প্রেমাদাসা সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের বাসস্থান, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাই গোতাবায়ার সফরের বিল পরিশোধ করা হয়েছে।