নিজস্ব প্রতিনিধি : চলতি আইপিএল-মঙ্গলবারের ম্যাচটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার দল লখনউ সুপার জায়ান্টস। তারা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল ৫ রানে।
মঙ্গলবারের ম্যাচটা ছিল প্লে-অফে দ্বিতীয় তিনটি জায়গার মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স যাবে কি না। কেননা তিনটি জায়গা খালি থাকলেও লড়াই ছিল সাত দলের। এই মুহূর্তে ১৩ ম্যাচে নাইটদের ঝুলিতে রয়েছে ১২ পয়েন্ট। নাইটরা ছাড়াও একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিরাট, সঞ্জু এবং শিখর ধাওয়ানের দল। এরমধ্যে বিরাটরা ও শিখররা খেলেছে ১২টি করে ম্যাচ। এবার সেক্ষেত্র নাইটদের প্লে-অফে যেতে গেলে মঙ্গলবার ম্যাচে মুম্বইকে জিততেই হত। কিন্তু তা আর হল না। কেননা লখনউ ম্যাচ জিতে তারা পৌঁছে গেল ১৫ পয়েন্টে। আর বাকি ম্যাচ জিতলেও সেখানে পৌঁছনো সম্ভব নয় নাইটদের। ফলে চলতি আইপিএল-থেকে নাইটদের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল মঙ্গলবার।
প্লে-অফে যেতে গেলে দুটো দলের কাছেই মঙ্গলবারের ম্যাচটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলের কাছেই ছিল প্লে-অফের হাতছানি। তাই ম্যাচ জিততে মরিয়া যুযুধান দুটি দল মুম্বই আর লখনউ। এমন একটা ম্যাচে যেখানে জ্বলে উঠতে হবে দুই দলের সবাইকে। সেই ম্যাচেই জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন মুম্বই দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান সূর্য কুমার যাদব। আর সূর্য ব্যর্থ হতেই ম্যাচ হাতের মুঠোয় পুড়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস।
কেএল রাহুল চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে যাওয়াতে তার শূণ্যস্থান প্রতিনিয়ত বোঝা যাচ্ছে লখনউ দলটার মধ্যে। যার একই চিত্র ধরা পড়ল মঙ্গলবার ম্যাচেও। ভাগ্যিস ক্রুণাল ও স্টেইনস দলেক টেনে নিয়ে গেলেন। এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছাড়ল লখনউ।
দলের ওপেনার থেকে শুরু করে প্রথম রাউন্ডের ব্যাটসম্যান চটজলদি ফিরে গেলেও দলকে টানতে শুরু করেছিলেন দলনেতা ক্রুণাল ও স্টেইনস। ক্রুণাল ৪৯ এবং স্টেইনস ৮৯ রান করেন। তার জেরেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলতে সমর্থ হয় লখনউ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই-এর শুরুটা খারাপ হয়নি। দুই ওপেনার রোহিত ও ইষাণ রান পেলেও ব্যর্থ হলেন সূর্য কুমার যাদব। ডেভিড কিছুটা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও তাতে লাভ হয়নি। তবে সূর্য যদি কিছু রান করতে পারতেন তাহলেই মুম্বই ম্যাচটা জিতে যেতে পারত। শেষ প্রর্যন্ত ১৭২ রানেই এসে থামতে হল মুম্বইকে।