নিজস্ব প্রতিনিধি: এই মুহূর্তে আইপিএল-এর লিগ টেবিলে যা অবস্থা তাতে রাজস্থান ও গুজরাট ৪ টি করে ম্যাচ খেললেও রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে লিগ টেবিলে ১ নম্বরে রয়েছে সঞ্জু স্যামসনরা। উভয় দলই ৩টি করে ম্যাচ জিতেছে, এবং হেরেছে ১টি করে ম্যাচ।
এই পরিস্থিততে রবিবারের ম্যাচের আগে যদি দুটো দলের ব্যাটিং লাইন আপের শক্তি দেখা যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগ এগিয়েই রাখবেন মরু শহরের দলটাকে। কেননা রাজস্থানের ব্যাটিং লাইনে যশস্বী, বাটলার দূরন্ত ছন্দে আছেন। কখনও কোনও ম্যাচে যশস্বীর ব্যাট ঝলসে উঠেছে আবার কোনও ম্যাচে ঝলসে উঠেছে বাটলারের ব্যাট। আবার কোনও ম্যাচে দেখা গিয়েছে অধিনায়ক সঞ্জুর ব্যাট থেকেও এসেছে মূল্যবান রান। এই তিনজন তো আছেনই, তার সঙ্গে আছেন হেটমার, দেবদূত পাড়িক্কলরা। আবার মাঝে মাঝে কখনও দেখা যায় অশ্বিনের ব্যাট থেকেও এসেছে মূল্যবান রান।
আরও জানতে পড়ুন: ঘরের মাঠে নাইটদের বধ করতে চায় মুম্বই
কিন্তু গুজরাট দলে এখনও সেইরকম কাউকে চোখে পড়েনি। একমাত্র শুভমন গিল ছাড়া। দূরন্ত ছন্দে থাকা শুভমন যে বিপক্ষ দলের বোলারের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে যথেষ্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুভমন ছন্দে থাকলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে কবে রান আসবে তা এখনও অজানা। নবাগত সুধাশরন প্রতিভাবান খেলোয়াড় হলেও ওঁকে এখনও সময় দিতে হবে। গুজরাট টিমের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দলনেতা হার্দিক-এর ছন্দে না থাকা। ব্যাটিং-এই দুর্বলতাগুলির জন্যই গুজরাটের থেকে এগিয়ে রাজস্থান।
আবার বোলিং-ও ব্যাটিং-এর মতো পাল্লা ভারি থাকবে সঞ্জুর দলের দিকেই। কারন অবশ্যই যজুবেন্দ্র চাহাল ও অশ্বিনের ছন্দে থাকা। চাহাল বর্তমানে যে ছন্দে রয়েছেন তা তাঁর পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে দিচ্ছে। আর পিছন থেকে মাঝে মাঝে চাহালের মতোই জ্বলে উঠছেন অভিজ্ঞ অশ্বিন। আর এঁদের দুজনের পাশাপাশি রয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, জেসন হোল্ডাররা। কাজেই ব্যাটিং-এর থেকে গুজরাটের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী রাজস্থান।
অন্য দিকে, গুজরাট দলে বোলিং বিভাগে সামি ও রশিদ খান ছাড়া সেইরকম অভি্জ্ঞ বোলার নেই। লিটল ও জোশেফ দু একটা উইকেট পেলেও তাঁরা কেউই ম্যাচ উইনার নন। সেক্ষেত্রে সামি বা রশিদ ব্যর্থ হলেই গুজরাটের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।