নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে ক্ষমতার পালাবদলের পরে ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে জ্বালানির জ্বালায় জর্জরিত আমজনতাকে বছরে বিনামূল্যে ১০টি রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডারকে পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে। লোকসভা ভোট উপলক্ষে বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রকাশিত ইস্তেহারে এমনই অঙ্গীকার করা হয়েছে। ইস্তেহারে দশটি প্রতিশ্রুতিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘১০ শপথ’ হিসাবেই তুলে ধরেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
মূলত আসন্ন লোকসভা ভোটে দেশবাসীর কাছে ‘মোদির গ্যারান্টি’ হিসাবে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। খোদ প্রধানমন্ত্রীও ওই গ্যারান্টি নিয়ে গলা ফাটিয়ে চলেছেন। তৃণমূলের অঙ্গীকারপত্রে বিজেপির বিকল্প প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার বিকল্প হিসাবে রয়েছে গরিবদের পাকা বাড়ি গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ‘লাখপতি দিদি’র বিকল্প হিসাবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর ধাঁচে মহিলাদের মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তৃণমূলের দেওয়া ১০ শপথ কী কী?
১) দেশের সমস্ত জব কার্ড হোল্ডারকে ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হবে। সব শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা বর্ধিত ন্যূনতম মজুরি পাবেন।
২) সমস্ত দরিদ্র পরিবারকে নিরাপদ, পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
৩) দারিদ্রসীমার নিচে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
৪) প্রতি মাসে প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডারকে ৫ কেজি চাল বিনামূল্যে দুয়ারে রেশনে দেওয়া
৫) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবকদের উন্নতির স্বার্থে ওবিসি, এসসি-এসটিদের জন্য উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বৃদ্ধভাতা বাড়িয়ে মাসে এক হাজার টাকা করা হবে। বার্ষিক ১২ হাজার টাকা।
৬। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে।
৭) পেট্রল-ডিজেল ও সিলিন্ডারের দাম স্বল্পমূল্যে দেওয়া হবে। পেট্রপণ্যের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে আলাদা তহবিল তৈরি করা হবে।
৮) ২৫ বছর পর্যন্ত সব স্নাতক ও ডিপ্লোমা অর্জনকারীর দক্ষতা বাড়াতে এক বছরের শিক্ষানবিশ প্রতিশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিক্ষানবিশদের অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য মাসিক বৃত্তি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীরা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পাবেন।
৯) বিলুপ্ত করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এনআরসি বন্ধ করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিও প্রয়োগ করা হবে না।
১০) বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি মেয়েদের শিক্ষার জন্য বার্ষিক এক হাজার টাকা এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সমস্ত মহিলাকে মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের বদলে উন্নততর স্বাস্থ্যসাথী বিমা চালু করা হবে। যার ফলে ১০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে।