নিজস্ব প্রতিনিধি: করুণাময়ীতে অবস্থান বিক্ষোভের একদিন কেটে গিয়েছে। তবুও জারি আছে আন্দোলন। এবার সেই আন্দোলনে সামিল হলেন প্রাথমিক (PRIMARY) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে তাঁরাও সামিল আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রতিরোধে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই বিক্ষোভেই পাশে থাকার বার্তা দিয়ে যোগ দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, তাঁরা ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড প্রার্থী। ইতিমধ্যেই তাঁরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এবার তাঁরা আর ইন্টারভিউ দিতে নারাজ। দাবি, সরাসরি নিয়োগের। জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের মধ্যে ৩ জন অসুস্থ। অন্যদিকে, বিক্ষোভস্থলে রয়েছে ৬টি প্রিজন ভ্যান। উল্লেখ্য, এই আন্দোলনের প্রথম দিনে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি,তাঁরা আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অবস্থান থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না?’ বঞ্চনা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা। অন্যদিকে, সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দায়ের হয়েছিল জোড়া মামলা। প্রসঙ্গত, বিএড ডিগ্রি রয়েছে যাঁদের তাঁরা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতার পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। ডিএলএড করেছেন যাঁরা, তাঁরা আবেদন করতে পারেন শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য। ডিএড করেছেন এমন চাকরি প্রার্থীরা এই মামলা করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এই পদে আবেদন করলে ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সুযোগ কমে যাবে। আবেদন ছিল, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যেন প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য পরীক্ষা দিতে না পারে।
বিচারপতি রায় দিতে গিয়ে এদিন বলেন, বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রাথমিক পদে শিক্ষকতা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই নিয়ে কোনও সংশোধনী প্রকাশ করতে পারবে কি না, তা জানার। খানিক বিরক্তি প্রকাশ করেই তিনি বলেন, মামলার পর মামলা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরি হচ্ছে কোথায়? নিয়োগ হচ্ছে না।