নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে (PRIMARY TET) বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ এনে মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিজেপির দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করেছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, নিয়োগের সমগ্র প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা দীর্ঘদিন চাকরি করছেন। এতদিন পর মামলা দায়ের করা যায় না।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি বিজেপির। ওই বছরের প্রাইমারি টেট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্ণীতি হয়েছে দাবি করে আদালতে মামলা করে বিজেপি। বিজেপির পক্ষে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তাপস ঘোষ। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। সেই শুনানিতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, বিজেপির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। তিনি বলেন, নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। যাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তাঁরা দীর্ঘদিন চাকরি করছেন। তাই এতদিন পর মামলা দায়ের করা যায় না, এমনই দাবি অ্যাডভোকেট জেনারেলের। তাঁর প্রশ্ন, দীর্ঘ ৮ বছর পর কী করে মামলা করা যেতে পারে? মামলাকারীদের অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়াতে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ হয়েছে ৬ দফায়। গত এপ্রিলে ৭৩৮ জনের নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এখনও গোটা প্রক্রিয়ার কোনও নিয়োগ তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। আরও অভিযোগ, কেউ কেউ পাশ না করেও চাকরি করছেন বলে। মামলাকারীদের দাবি, গত এপ্রিলেও চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হয়, ওই নিয়োগ সম্পূর্ণ অন্য। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলা খারিজেরও আবেদন জানানো হয়।
আদালতের নির্দেশ, রাজ্য কেন বলছে মামলাটি গ্রহণযোগ্য নয়, তা এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। তার ৩ দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীদের। আগআমী ২১ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGH COURT) তরফে জানানো হয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নতুন করে এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা আর পাঠানো হবে না। এসএসসি নিয়ে নতুন কোনও মামলা দায়ের হলে সেগুলির বিচার করবেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা ও মাদ্রাসা সার্ভিস সংক্রান্ত বিচারের কাজ করবেন।