এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অগস্টেই বঙ্গ সফরে আসছেন শাহ, নজরে সাংসদেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার(Rural Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) রাজ্যে পা রাখার সুযোগ হয়নি বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah)। তবে ভোট মিটে যাওয়ার পরে এবার তিনি আসছেন বাংলা সফরে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী অগস্ট মাসে তিনি বাংলা সফরে আসতে পারেন।সেই সফরে তিনি বঙ্গ বিজেপির প্রকৃত সাংগঠনিক হালহকিকত খতিয়ে তো দেখবেনই সেই সঙ্গে থাকছে তাঁর প্রকাশ্য সমাবেশ ও রোড শোর কর্মসূচীও। এরই পাশাপাশি তাঁর এই সফরে রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন তিনি। তবে সব থেকে বেশি নজর দেওয়া হবে বাংলা থেকে নির্বাচিত দলের সাংসদের বিগত ১ বছরের পারফর্মেন্সের দিকেই। কেননা গ্রাম বাংলার রায় বলছে উনিশের ভোটে জেতা সব লোকসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলের(TMC) থেকে পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি(BJP)।

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন শাহ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের এই রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস বিজেপিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করা থেকে থামাতে পারেনি। বিজেপি আগের নির্বাচনের তুলনায় তার আসন সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে, যা প্রমাণিত আমাদের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একেবারে জলের মতো স্বচ্ছ যে জনগণের স্নেহধন্য প্রধানমন্ত্রী @narendramodiজী-এর নেতৃত্বাধীন বিজেপির সাথে রয়েছে এবং লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তারা বিজেপিকে অবশ্যই উচ্চতার শিখরে নিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং @DrSukantaBJP, শ্রী @SuvenduWB এবং সকল কার্যকর্তাদের অনেক অভিনন্দন যারা দৃঢ়তার সাথে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের সাথে অটল ছিলেন।’ কার্যত শাহের এই ট্যুইটই বলে দিচ্ছে এখনই সুকান্ত বা শুভেন্দুর গদি হারাবার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু শাহের নজরে পড়েছেন বাংলার সাংসদেরা। কেন তাঁদের সব এলাকায় তৃণমূলের থেকে বিজেপি পিছিয়ে পড়েছে সেটা খতিয়ে দেখতে চান তিনি।

বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে দলের খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলী সন্ত্রাসকে খাড়া করলেও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি। আর তাই পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার তিনদিন পর শুক্রবার আচমকাই সুকান্তবাবুকে দিল্লিতে তলব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে সুকান্তবাবু রাজ্যে ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা কার্যকরের আর্জি জানালেও শাহ তা খারিজ করে দিয়েছেন। শাহ নিজেই ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের রায় বলছে, সবচেয়ে ‘খারাপ হাল’ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, এসএস আলুওয়ালিয়া এবং কুনার হেমব্রমের। এই পাঁচজনের লোকসভা ক্ষেত্রের গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রাপ্তির হিসেবে কার্যত ধরাশায়ী তাঁরা। আবার গত লোকসভা নির্বাচনে বিশাল সব ব্যবধানে জিতলেও, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে ‘সঙ্গীন অবস্থা’ আরও চার গেরুয়া সাংসদের—কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা এবং ডাঃ সুভাষ সরকার। এমনকী দার্জিলিংয়ের এমপি রাজু বিস্তারও কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে পাহাড়ে অনীত থাপা-তৃণমূলের জোট।

এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে বাংলার নেতারা ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টির তোপের মুখে পড়েছেন, তা সে শাহ নিজে ট্যুইট করে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে যতই বাহবা দেন না কেন। আর সেই কারণেই লোকসভা ভোট নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে পদ্মশিবির। আগে জেতা আসনের জয় নিশ্চিত করে তারপর বাকি সব কিছু ভাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ নেতাদের। অর্থাৎ, অমিত শাহের ৩৫ আসন দখলের স্বপ্ন যে ফের ‘চুরমার’ হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগের ১ বছরে বাংলার প্রত্যেক সাংসদের ভূমিকা স্ক্যানারের তলায় আনতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে গতবারের জেতা আসনগুলিতে ঢালাও প্রার্থী বদলের পথেও হাঁটতে পারে বিজেপি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘গতর খাটিয়ে খাই, শ্রমিকের অধিকার চাই’, মে দিবসে বন্ধ থাকবে সোনাগাছি

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, দাবি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

কলকাতা বিমানবন্দরে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি

রবিবার কলকাতায় ৪৪ বছরের গরমের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে, তাপমাত্রা পৌঁছবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে

চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম আপিলের শুনানির সম্ভাবনা ৩ মে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর