নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বৃহস্পতিবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন বিকেল ৫ টা ২০ মিনিট নাগাদ তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিস থেকে বের হন।
গত বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন ২ মে ইলমবাজারে বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই বিষয়ে তদন্তে নেমে সিবিআই গোয়েন্দাদের কাছে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে। এর পর তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় পঞ্চমবার তলবের পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার মধ্যে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মত এদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে ম্যারাথন জিজ্ঞসাবাদ করেন সিবিআই-য়ের গোয়েন্দারা।
গৌরাঙ্গ সরকার নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর দুই পুত্রকে মারধর করা হয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন। তাঁর দুই ছেলে গৌরব সরকার এবং সেতু সরকারকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গৌরব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে এদিন সিবিআই গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসা করেন, ভোটের ফল প্রকাশের দিন অনুব্রত মণ্ডল কোথায় ছিলেন। তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ওইদিন। নিজের ফোন ছাড়া অন্য কোনও ফোন থেকে কথা বলেছিলেন কি না। পাশাপাশি এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর কতজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল জবাবে বলেন, পাঁচ ছজন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে তাঁর। এরপর সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর চান। পাশাপাশি তাঁর মেয়ের মোবাইল নম্বরও চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়ে দেন। ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সোজা কলকাতায় চিনার পার্কের বাড়িতে পৌঁছন বীরভূমের কেষ্ট।