এই মুহূর্তে




‘বাংলা তো জল হজম করার জায়গা হয়ে গিয়েছে’, ডিভিসি-কে নিশানা মমতার

Courtesy - Google and Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাই যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় নিখুঁত পরিকল্পনা, জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে কাজের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়ে দেওয়ার পরও সরাসরি ময়দানে নেমে নজরদারি করতে দেখা যায় তাঁকে। এবারে ‘ডানা’র(Cyclone Dana) হানাদারির মুখেও সেই ছবির ব্যতিক্রম ঘটল না। রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি ও কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে(Nabanna) নিজের কার্যালয়েই থেকে যাচ্ছেন তিনি, মানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি নিজেই এদিন দুপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সেই তথ্য জানিয়েছেন। আর সেই বৈঠক থেকেই তিনি ফের নিশানা বানিয়েছেন কেন্দ্রের অধীনে থাকা Damodar Valley Corporation বা DVC-কে। কার্যত রাজ্য সরকারকে না জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই যেভাবে DVC আবারও হাজার হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে তা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন, Vidyasagar Industrial Park-এ প্লাস্টিকের Recycle কারখানা, ৩০০ কোটির লগ্নি

পুজোর মুখেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর একটা বড় অংশই ভেসে যায় DVC’র অপরিকল্পিত ভাবে জল ছাড়ার জন্য। সেই সময় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনাকে Man Made Flood বলে চিহ্নিত যেমন করেছিলেন তেমনি DVC’র সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছেদের কথাও জানিয়েছিলেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। এর পরই DVC’র সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের দুই প্রতিনিধি। এখন ঘূর্ণিঝড় বাংলায় আসার আগেই DVC পাঞ্চেত আর মাইথন থেকে জল ছাড়া শুরু করে দিয়েছে। সেটাও আবার রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে। সেই ঘটনার জেরেই এদিন নিজের ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি এদিন বলেন, ‘ডিভিসি বুধবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খন্ডে বৃষ্টি হলে আবারও ছাড়বে। বাংলাটা যেন ওদের জল হজম করার জায়গা হয়ে গেছে। রাজ্যকে বিপদে ফেলতে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। আর গোটা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। বন্যার জন্য দায়ী ডিভিসি। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডোবাচ্ছে।’

আরও পড়ুন, ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ লাখ টাকা হাপিসের ঘটনায় গ্রেফতার ৫ যুবক

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিভিসির জলধারণ ক্ষমতা আগের থেকে ৩৬ শতাংশ কমে গেছে। ড্রেজিং না করার জন্যই এমন হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেও কোনও লাভ হয়নি। ওরা যদি খননটা ঠিকভাবে করে, পলিগুলো পরিষ্কার করে তাহলে অনেক বেশি জলধারণ করতে পারে। আগে  কলকাতায় বৃষ্টি হলেই জল জমতো। এখনও কলকাতায় অনেক জায়গায় জল জমে তবে সঙ্গে সঙ্গে নেমে যায। কারণটা কী? কারণ, আমরা কলকাতার পাম্পিং সিস্টেম আগের থেকে অনেক উন্নত করেছি। তা ছাড়া পলি সরানোর কাজটাও আমরা করেছি। অনেক সময় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় ইট, বালি ফেলে রেখেছে। নর্দমা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের এটা বোঝা উচিত। যাতে নর্দমা বন্ধ না হয়। সাধারণ মানুষের বিপদ না হয়। কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।’ একই সঙ্গে সাধারন মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাতে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে থাকব। নাইটটা টোটাল আমি ওয়াচ করছি। নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর খোলা থাকবে। অযথা ভয় পাবেন না। গুজবে কান দেবেন না। কুৎসা বা প্ররোচনায় কান দেওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। আর ঝড়বৃষ্টি না থামলে সমুদ্রে যাওয়া বা বাড়ি থেকে বেরনো বারণ। এর পর আবার চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ থাকবে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু,খুন নাকি আত্মহত্যা তদন্তে পুলিশ

ভ্যাপসা গরম থেকে অবশেষে মুক্তি, রাজ্যে শীতের ইনিংস শুরু হচ্ছে কবে থেকে!

উৎসবের শেষেও বাজার আগুন, ছুটির দিনে কত দরে মিলছে আলু-পেঁয়াজ-রসুন!

সুরেন্দ্রনাথ কলেজ লাগোয়া বৈঠকখানা রোডে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান পেলেন গোয়েন্দারা

নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ডাক পেলেন অভিষেক

সোমবারের মধ্যেই ট্যাবের টাকা জমা পড়বে ৮৫ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে, জানালেন শিক্ষা সচিব

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর