এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জবকার্ডের সঙ্গে আধার যোগে দেশের শীর্ষে বাংলাই

নিজস্ব প্রতিনিধি: মোদি সরকারের(Modi Government) কাছ থেকে বাংলা(Bengal) ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প(100 Days Work Project) বাবদ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা পাবে। বার বার রাজ্যের তরফে এই টাকা পাঠাতে বলা হলেও সেই টাকা পাঠায়নি কেন্দ্র সরকার। এই টাকা চেয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)ও। টাকা না পাঠানোর কারণ হিসাবে কেন্দ্রের তরফে তুলে ধরা হয়েছে যে, বাংলায় যাদের ১০০ দিনের কাজের জবকার্ড আছে তাঁদের সেই কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ নেই। তাই কার টাকা কে পাচ্ছে তার হিসাব পাচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। মোদি সরকারের তরফে যখন এই যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে তখন কেন্দ্রের তথ্যই বলছে ১০০ দিনের কাজের জবকার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তির ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাই। পিছিয়ে দেশের সব ‘ডবল ইঞ্জিন’(Double Engine) বা বিজেপি(BJP) শাসিত রাজ্যগুলি।

আরও পড়ুন চাকরি চলে গিয়েছে, ৫ কোটির লোনের কী হবে, চিন্তায় ব্যাঙ্ক

আর্থিক বছর শেষ হতে আর মাস দেড়েক বাকি। কিন্তু ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বকেয়া এক পয়সা এখনও মেটায়নি কেন্দ্র। উল্টে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল পাঠিয়ে যাচাই করা হচ্ছে, টাকা সঠিক উপভোক্তার কাছে পৌঁছেছে কি না। বাংলার প্রতি এই আর্থিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক অবরোধের প্রতিবাদে শুক্রবারই সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাবি ভাষণ চলাকালীন। তাতে যোগ্য সঙ্গত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টও। ১০০ দিনের কাজে টাকা আটকে রাখার পিছনে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অজুহাত ছিল জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ না থাকা। অভিযোগ ছিল, রাজ্যে এই হার অত্যন্ত কম। আর সংযোগ না থাকার ফলে সঠিক উপভোক্তার কাছে টাকা পৌঁছচ্ছে না। কিন্তু মোদি সরকারের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, জব কার্ড-আধার সংযোগে ডাবল ইঞ্জিন তো বটেই, জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলা। সারা দেশে যেখানে এই গড় ৬৯.৪ শতাংশ, বাংলায় তা ৮৬.১ শতাংশ। শুধু ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নয়, প্রবীণদের পেনশন দেওয়ার জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প বা NSP এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের নিয়ে আনন্দধারা Rural Lifelihood Mission প্রকল্পে আধার সংযোগেও জাতীয় গড় টপকে গিয়েছে বাংলা। NSP’র ক্ষেত্রে জাতীয় গড় ৪৪.১ শতাংশ। অথচ সেখানেইক দ্বিগুণ আধার সংযোগ হয়েছে বাংলায়, শতাংশের হিসাবে ৮২ শতাংশ।

আরও পড়ুন বিশ্বভারতীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, কড়া চিঠি নোবেলজয়ীর

অর্থাৎ দুর্নীতি নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রে লাভ তোলার জন্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারকে বিপাকে ফেলার লক্ষ্যে, বাংলার গরীব মানুষকে ভাতে মারার লক্ষ্যে এই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা সঠিক উপভোক্তারাই পাচ্ছেন, তা নিয়ে দ্বিমত হওয়ার কোনও অবকাশই নেই। আধার সংযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ যে ভিত্তিহীন, তা কার্যত প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের মাধ্যমে চলা কেন্দ্রীয় সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে আধার সংযোগ বিতর্ক সমাধানে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, চলতি মাসের প্রথম ১০ দিন ‘মিশন মোড’-এ কাজ করতে হবে। যাতে ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্প, NSP এবং Rural Lifelihood Mission প্রকল্পের ক্ষেত্রে আধার কার্ড সংযোগ দ্রুত শেষ করা যায়। ফল মিলেছে হাতেনাতে। আবাস যোজনার ক্ষেত্রে বিগত দশ দিনে রাজ্যে আধার সংযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৫.৭ শতাংশে। ১০০ দিনের কাজে আধার সংযোগ হয়েছে ৮৬.১ শতাংশ। আগামী ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বৈঠক। ১০০ দিনের কাজে সব রাজ্যের পারফরম্যান্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে সেখানে। রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের মত, বাংলার টাকা আটকে রাখার পক্ষে যুক্তি সাজাতে কাজের ভুল-ত্রুটি নিয়ে সরব হতে পারে মন্ত্রক। তা রুখতে রাজ্যের হাতিয়ার হতে চলেছে জব কার্ড-আধার সংযোগ নিয়ে মোদি সরকারের সাম্প্রতিকতম এই রিপোর্ট।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজভবনের মহিলা কর্মীর

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

তৃণমূলের তারকা প্রচারের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন কুণাল

প্রথম চেষ্টাতেই মাধ্যমিক পাশ করে চমকে দিলেন ফুটপাতের প্রিয়া

তীব্র গরমে কলকাতায় বাড়ছে জল সমস্যা,পথে নামল পুরসভা

মেট্রো পরিষেবার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর