এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চাকরি চলে গিয়েছে, ৫ কোটির লোনের কী হবে, চিন্তায় ব্যাঙ্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে গোটা রাজ্যের মোট ১৯১১ জন Group-D কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। চাকরি কাড়ার নির্দেশ যেদিন আদালত দেয় তার আগেই যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে সেটা অনেকেই আন্দাজ করেছিলেন। আর সেটা নায্য পদক্ষেপও। কিন্তু পাশাপাশি এই ২ হাজার মানুষের জীবনে যে অন্ধকারটা নেমে আসতে চলেছে তার জেরে সরাসরি ধাক্কার মুখে পড়ছে তাঁদের পরিবার এবং কিছুটা হলেও বাজার অর্থনীতি। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়া এই ২ হাজার মানুষ বিগত ৩-৪ বছরের চাকরির জেরে যদি কোথাও থেকে লোন নিয়ে থাকেন তাহলে সেই লোন পরিশোধ করা নিয়ে আগামী দিনে সমস্যা দেখা দেবে। কার্যত এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। আদালত যাদের চাকরি কাড়ার নির্দেশ দিয়েছে, দেখা যাচ্ছে তাঁদের মধ্যে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই চাকরি গিয়েছে ৩৬০ জনের। এদের মধ্যে ৫৭জন ব্যাঙ্ক থেকে ৫ কোটির লোন নিয়ে বসে আছেন। এই টাকা এখন কীভাবে তাঁরা শোধ করবেন বা ব্যাঙ্ক সেই টাকা সুদে আসলে ফেরত পাবে তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন পুরুলিয়ায় ২০০ কোটির গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় চাকরি খোয়ানো ৫৭ জন Group-D কর্মী Tamluk Ghatal Central Co-Operative Bank থেকে ৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁদের নেওয়া মোট ঋণের সংখ্যা ৭০টি। অর্থাৎ কয়েকজন ডাবল লোন নিয়েছিলেন। অধিকাংশ জনই Personal Loan নিয়েছেলেন। এছাড়াও বেশকিছু Housing Building Loan-ও আছে। এখন তাঁদের চাকরি খারিজের ঘটনায় কার্যত Tamluk Ghatal Central Co-Operative Bank কর্তৃপক্ষের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। কীভাবে ওই টাকা উদ্ধার হবে, তা নিয়ে কার্যত তাঁদের মাথার চুল ছেঁড়ার দশা হয়েছে। দেশে ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপিদের বাড়ি, জমি, দোকান, ব্যবসা, ব্যাঙ্ক আমানত, পোস্ট অফিসের আমানত, সোনা, বাড়ির আসবাব মায় পোষাক বা দামী জিনিসও বাজেয়াপ্ত করার আইন রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি ওই ৫৭ জন ব্যাঙ্কের ঋণ সুদে আসলে শোধ করতে না পারেন তাহলে সেই টাকা উদ্ধারের জেরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে ও বাড়ি সহ যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের পথে হাঁটবে। কার্যত যা ওই ৫৭জন চাকরি হারানো প্রার্থীর পারিবারিক জীবনকে রীতিমত ধাক্কা দেবে। অনেকেই হয়তো পথের ভিখারি হয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন আবাসের টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি, ৩১৮জনের নামে ১৭টি FIR

এই বিষয়ে Tamluk Ghatal Central Co-Operative Bank কর্তৃপক্ষ এখনও সংবাদমাধ্যমে কোনও বিবৃতি দেননি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ দেওয়া টাকা কীভাবে ফেরত আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা ও চিন্তাভাবনা চলছে। তবে ঘটনা হচ্ছে, এই ব্যাঙ্ক যেহেতু বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক নয় তাই এই ঋণ তাঁদের ঘরে না ফিরলে ব্যাঙ্কটির মজবুত ভিত্তি ধাক্কা খাবে। এমনকি ব্যাঙ্কটি সেক্ষেত্রে লোকসানে চলে যেতেও পারে। ধাক্কা খাবে সেখানে সঞ্চিত আমজনতার আমানত। ব্যাঙ্ক ডুবে গেলে আমজনতার পকেটেও সরাসরি ধাক্কা লাগবে। বিপর্যস্ত হবে আরও অনেক মানুষের জীবন। কেউ হয়তো সেখানে মেয়ের বিয়ের টাকা জমাচ্ছেন, কেউ ছেলেমেয়ের পড়াশোনার টাকা জমাচ্ছেন, কেউ বা হয়তো নিজের ভবিষ্যতকালের জন্য টাকা যাচ্ছেন। এখন প্রশ্ন ব্যাঙ্ক ধাক্কা খেলে বা ওই ৫ কোটির ঋণ ফেরত না পেলে এই সঞ্চিত অর্থ কী ফেরত পাবেন আমজনতা? সূত্রতে জানা গিয়েছে, ওই ৫৭জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের সরকারি চাকরি থাকায় যা কার্যত Service Security হিসাবে চিহ্নিত হয়। লোন দেওয়ার সময় কোনও নিয়োগ বিতর্ক ছিল না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই ৫৭জনের নিয়োগপত্র দেখে লোন দিয়ঞ্ছে। এখন হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ৫৭জনের চাকরি চলে গিয়েছে। তাই তাঁরা এখন লোন কীভাবে শোধ করবেন তা তা৬রা নিজেরাও ভেবে পাচ্ছেন না। ব্যাঙ্কের কর্তারাও ভেবে পাচ্ছেন না ঘরের টাকা ঘরে কীভাবে ফেরাবেন। তাঁরা এখন ওই ৫৭জনকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে কাজ আদৌ হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

আরও পড়ুন ৫০০ কোটির নয়া সেতু বর্ধমানে, লাভবান হবে ৩ জেলা

জানা গিয়েছে যারা Personal Loan নিয়েছিলেন তাঁদের নেওয়া ঋণে সুদের হার বেশ বেশি। কিন্তু, কোনও মর্টগেজ রাখার প্রয়োজন হয়নি সেই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবী দেখে ঋণ দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে Service Security-কে। যা এখন আর নেই। এই সব কর্মীদের মাইনে থেকেই এতদিন ঋণের টাকা মাসে মাসে শোধ হচ্ছিল। এখন আর বেতনের গল্পও নেই, তাই সেখান থেকেও Automatic EMI কাটতেও পারবে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ৪ বছর ধরে ঋণ শোধ হয়েছে। আগামী দিনে কী হবে তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না। কয়েকজন বাড়ি তৈরির জন্য Housing Building Loan নিয়েছেন। তাঁদের মর্টগেজ হিসেবে সম্পত্তি দেখানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ খেলাপির জন্য বড়জোর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। কিন্তু, ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সেটা করার সুযোগও নেই। তবে ঘটনা হচ্ছে, শুধু Tamluk Ghatal Central Co-Operative Bank-এর ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য সমবায় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা দিতে চলেছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভগবানগোলাতে অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জখম একাধিক শিশুসহ ১৩ জন

বসিরহাট আদালতে সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশার’ চোখে জল

নির্বাচনের আগে ভাটপাড়ায় বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার

ফরাক্কার এক স্কুলেই চাকরি গিয়েছে ৩৬ শিক্ষকের, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

গৌরাঙ্গনগরে ১০ বছর ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতির দুই ছেলে, উদ্ধার করল পুলিশ

বিজেপিকে সমর্থনের শাস্তি, বিনয় তামাংকে দল থেকে তাড়াল কংগ্রেস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর