নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগে ঝড়-ঝঞ্ঝার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়াবিদরা।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে কিছু দিনের মধ্যেই নিম্নচাপ তৈরি হয়ে যাবে। সাগরে সেই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।তবে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) আদৌ তৈরি হবে কি না, এখনই নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। তার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তার কী প্রভাব পড়বে, কোন অভিমুখে তা এগোবে, এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়।
সাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে হাওয়া অফিস।গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে। বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। তা ঝাড়খণ্ডের(Jharkhand) দিকে সরে গিয়েছে। এ ছাড়া, দিঘার উপর দিয়ে বিস্তৃত রয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) জেলগুলিতে দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন পুজোয় বৃষ্টি হবে না তো?হাওয়া অফিস থেকে সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ এবং তা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হলে পুজোর আগে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে ‘তেজ’।
আলিপুরের পূর্বাভাস ছিল, রবিবার উত্তরবঙ্গের (North Bengal)সবক’টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। সেই মতো শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে জলমগ্ন মালদা উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। সোমবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরের আটটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তুলনায় বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমবে। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন দক্ষিণের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস ।রবিবার কলকাতায় আকাশ মূলত মেঘলা ছিল। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু’এক পশলা বৃষ্টি হয়। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।