নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভূপতিনগর কাণ্ডে NIA সমন খারিজের আবেদন করে কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন তৃণমূলের ৮ জন নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন মানব পাডুয়া নামে এক ব্যক্তি। যার বিরুদ্ধে NIA অভিযোগ করেছেন। তাই এনআইএ সমন এড়াতেই কলকাতা হাইকোর্টে যান মামলাকারীদের আইনজীবী। তবে শেষ রক্ষা হল না। কলকাতা হাইকোর্ট সমন খারিজ করার বিষয় হস্তক্ষেপ করেনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে চলছে NIA মামলার শুনানি। আগামী ১৭ এপ্রিল হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
কি হয়েছিল ভূপতিনগরে? ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নায়ড়াবিলা গ্রামে রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না ও তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় ভূপতিনগরের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানা নামে দুই ব্যক্তিকে তলব করেছিল NIA। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। সেই সূত্রেই এদিন NIA’র আধিকারিকেরা হুট করে তাঁদের বাড়িতে চলে এসে তাঁদের আটক করেন। তাঁদের বাড়িতে জানানো হয় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের নিয়ে গ্রাম ছেড়ে বেরোবার মুখে মারমুখী জনতার মুখে পড়েন NIA’র আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাই এবং মনোব্রতকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন। গাড়ির কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। তার জেরে ২জন NIA’র আধিকারিক সামান্য জখম হন। এরপরে কোনওরকমে তাঁরা স্থানীয় থানায় গিয়ে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। পরে NIA’র তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য বলাই ও মনোব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।