এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

হাওড়ার পুরভোট আটকে রাজ্যপালের দোষে, দাবি স্পিকারের

নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরেই সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যের শতাধিক পুরসভার নির্বাচন। আরও গুটিকয় পুরসভার নির্বাচন চলতি বছরেই সম্পন্ন হবে। কিন্তু হাওড়া পুরনিগমের(Howrah Municipal Corporation) ভোট কবে হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। কার্যত বিশ বাঁও জলে ডুবে রয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। আর হাওড়া পুরনিগমের এই নির্বাচন না হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভার স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee) কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই(Jagdeep Dhankar)। সাফ জানালেন, ‘রাজ্যপালের কাছে বিল পাঠানো হলেও তিনি বিধানসভাকে তা জানাননি। উনি বার বার বিধানসভায় আসেন। উনি এসে বলেন, কোনও বিল বাকি নেই। যদিও হাওড়ার বিল এখনও আটকে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক পরিষেবা। সুপ্রিম কোর্টের রায় মানা উচিত রাজ্যপালের। রাজীব গাধীঁ হত্যা মামলা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়েছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। তাই এ ক্ষেত্রেও তেমনটা হওয়া উচিত ছিক।’

হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে পৃথক করে নতুন করে বালি পুরসভা গঠন করতে চায় রাজ্য সরকার। সেই মর্মে রাজ্য বিধানসভায় বিলও পাশ হয়েছে। সেই বিল সাক্ষর করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানোও হয়েছে। তিনি সাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে। কিন্তু রাজ্যপাল এখনও সেই বিলে সই করেননি। যদিও রাজ্যপালের দাবি তাঁর কাছে এই ধরনের কোনও বিলই নাকি আটকে নেই। আর এই দুই তরফের টানাটানিতে আটকে রয়েছে হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন। তবে শুধু হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন সংক্রান্ত বিলই নয়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বারংবার উঠেছে একের পর এক বিল আটকে রাখার অভিযোগ। এই নিয়ে জাতীয় স্পিকারদের সম্মেলনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষও হাওড়ার ভোট ঘিরে এই জটিলতার কারণে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘হাওড়ার মানুষ রাজ্যপালের ওপর ক্ষুব্ধ। রাজ্যপাল অহেতুক জটিলতা তৈরি করছেন। হাওড়ার মানুষের ওপর রাগ দেখাবেন না। সেখানকার নাগরিকদের পুর পরিষেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছে ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’। এর ফলে হাওড়া পুরনিগমের ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়ায়। বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরে হাওড়া পুরনিগমের যে অংশ পড়ে রইল, তার পুনর্বিন্যাস করেই ৫০টি ওয়ার্ড হয়। হাওড়া পুরনিগমে আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন হাওড়ার ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬৬টি। কিন্তু এখন হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা। এবং দু’টি পুরসভাতেই ভোট বকেয়া পড়ে আছে। হাওড়ার বিলটি রাজ্যপালের সইয়ের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে পাঠানো হয় রাজভবনে। কিন্তু রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, তিনি বারবার চাওয়া সত্ত্বেও বিলটি সবিস্তার তাঁকে জানানো হয়নি। ফলে তাঁর পক্ষে সই করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজভবনের দাবি, তাদের কাছে কোনও ফাইল ৪৮ ঘণ্টার বেশি আটকে থাকে না। কিন্তু রাজ্যের দাবি, বিল আটকে রয়েছে রাজভবনেই। তাই এখনও হাওড়ার ভোট অথই জলে বলেই মনে করছেন হাওড়ার বাসিন্দারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রাজ্যজুড়ে সাতজনের প্রাণহানি

সোমবার সন্ধ্যায় ঝমঝমিয়ে প্রথম কাল বৈশাখীর বৃষ্টি কলকাতা শহরে

মালদা ও মুর্শিদাবাদের নির্বাচনে বুথগুলিকে ঘিরে কড়া নজরদারি কমিশনের

গাছে জল দিতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, বাগুইহাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা

বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, পুরুলিয়াতে শিলা বৃষ্টি শুরু

সুপ্রিম কোর্টে হল না চাকরিহারাদের মামলার শুনানি, সম্ভাবনা আগামিকাল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর