নিজস্ব প্রতিনিধি: সামনেই ইংরেজি নতুন বছর। শেষ হতে চলেছে ২০২২। আসছে নতুন বছর ২০২৩। সেই নতুন বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বসতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার(West Bengal State Assembly) বাজেট অধিবেশন(Budget Session)। প্রথম দিন রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে চালু হবে অধিবেশন। ১০ ফেব্রুয়ারি আগামী অর্থবর্ষের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya)। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় এই নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সকলকে বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এবারের বাজেটে সব থেকে বেশি মানুষ তাকিয়ে থাকবেন রাজ্য সরকারের আর্থ সামাজিক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয় কিনা তা দেখতে। তবে এই বাজেটে অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে যদি সুপ্রিম কোর্ট ডিএ নিয়ে কড়া কোনও নির্দেশ ওই বাজেটের আগে দিয়ে তো। সেক্ষেত্রে বাজেটের অনেক হিসাবই গুলিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন আবাস যোজনা থেকে শিক্ষা, পাট্টা প্রদানে সতর্ক নবান্ন
রাক্য-কেন্দ্র সম্পর্ক এখন অনেকটাই ভাল হয়েছে। তার জেরে একের পর এক প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে চলেছে মোদি সরকার। যদিও রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের হার যে খুব বেড়ে গিয়েছে তার জন্য এমনটা মোটেও নয়। তবে রাজ্যের কোষাগারে যে অর্থের টানাটানি চলছিল তার কিছুটা হলেও ভার লাঘব হয়েছে। কেননা অনেক প্রকল্পের কাজ রাজ্যকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ার জেরে। এই অবস্থায় আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রূপশ্রী, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হবে কিনা সে দিকেই তাকিয়ে থাকবেন বাংলার জনতা। সেই সঙ্গে রাজ্যের ক্ষেত্রে নতুন নতুন কোন প্রকল্প চালু হবে সেদিকেও তাকিয়ে থাকবেন অনেকেই।