নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের(West Bengal State Government) সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) যে কথা বার বার বলেছেন সেই কথাকেই মঙ্গলবার মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ জরুরি, একথা মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন। কিন্তু যখনই তিনি তা বলেছেন তখনই নানা মহল থেকে ও বিরোধী দলগুলির তরফে ‘গেল গেল’ রব তোলা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার খাস কলকাতা হাইকোর্টও একই কথা জানিয়ে দিল। কোভিডকালের সময় থেকেই রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছিল অভিভাবকমহলে। কার্যত অস্বাভাবিক হারে পড়ুয়াদের বেতন বৃদ্ধির জেরে অভিভাবকেরা মামলা(Private Schools Fee Hike Case) ঠুকতে বাধ্য হন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এদিন আদালত তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের Group-D কর্মীদের ১৬ ঘন্টা ডিউটি
মঙ্গলবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা কখনই বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না। ইচ্ছে মতো টাকায় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না। বেসরকারি স্কুলগুলো তাঁদের পছন্দের যেমন খুশি টাকায় শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না। আর তাই বেসরকারি স্কুলগুলির ওপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। বেসরকারি স্কুলের বেতন কাঠামো কী হবে তা রাজ্য সরাসরি ঠিক করে দিতে পারে না ঠিকই, কিন্তু কোথাও তো বলা নেই বেসরকারি স্কুলগুলোর ওপর রাজ্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। রাজ্যের ২০১২ সালের আইন বলছে, রাজ্যের কনসেন্ট থাকতে হবে।’ এরপরেই তিনি বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য কী তা জানতে চেয়েছেন। দু-সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। ২১ জুন তিনি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।