এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাঘে খেলে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পেটের তাগিদে জঙ্গলে পা। কেউ আসেন মধু সংগ্রহে, কেউ বা মীন তুলতে। কিন্তু সেই কাজে নেমেই কেউ কেউ হারিয়ে যান চিরতরে। বনবিবির জঙ্গল থেকে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় দক্ষিণরায়। কারও দেহাংশ মেলে, কারও বা সেটাও মেলে না। আবার কখনও কখনও সঙ্গীসাথীরা দক্ষিণরায়ের থাবার হাত থেকে ছিনিয়ে আনতে পারলেও জীবন বাঁচাতে পারে না। এটাই সোঁদরবনের(Sundarban) ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনগাথা। প্রতিবছর এপার বাংলার সুন্দরবনে বাঘের হামলায় মৃত্যু(Death by Tiger Attack) হওয়া মানুষের সংখ্যাল লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। কোভিডের পরে তা আরও বাড়ছে। এই সব মানুষদের পরিবারের জন্যই এবার স্বস্তির বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। সম্প্রীতি এক মামলায় রাজ্যের শীর্ষ আদালতের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বৈধভাবে হোক বা অবৈধ ভাবে হোক, সুন্দরবনে যে যেরকম ভাবেই পা রাখুক না কেন, বাঘের হামলায় জীবন গেলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। 

সুন্দরবনে বাঘের হানার মৃত্যুর ক্ষেত্রে সরকারি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেই ক্ষতিপূরণ পান কেবলমাত্র সেই সব পরিবারই যাদের বাড়ির সদস্য বনদফতরের অনুমতি স্বাপেক্ষে সুন্দরবনে পা রেখে বাঘের হামলায় জীবন খুইয়েছেন। বাকিরা থেকে যান ক্ষতিপূরণের বাইরে। সুন্দরবনের গরীব মহল্লায় উঁকি দিলেই দেখা যাবে কোনও পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য যেমন বাঘের পেটে গিয়েছেন, কোনও কোনও পরিবারের একাধিক সদস্য বাঘের হামলায় জীবন খুইয়েছেন। কিন্তু কারোরই এক টাকাও ক্ষতিপূরণ জোটেনি। ফলে আর্থিক ভাবে সেই পরিবারটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা কাটিয়ে তাঁরা বেড়িয়ে আসতে পারে না। তবে আইনি পথে যারা সুন্দরবনে পা রেখে বাঘের হামলায় প্রাণ হারান তাঁদের পরিবার রাজ্যের বনদফতরের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পায়। যদিও অভিযোগ, সেই ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রেও আছে নিয়মের গেরো। সেই নিয়মের গেরো পেরিয়ে খুব কম পরিবারই সেই ক্ষতিপূরণ পায়।

নিয়ম ঠিক কোথায়? সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় ঢোকার পর বাঘের(Royal Bengal Tiger) আক্রমণে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। সেই ক্ষতিপূরণ মেলে শুধুমাত্র বাফার এলাকায় ঘটনা ঘটলে। দেখা যাচ্ছে কোনও বছর সুন্দরবনে বাঘের হামলায় ৫০জন মারা গেলে মাত্র ৫টি পরিবার হয়তো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে। এই ছবিটা বদলাতেই  মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের(APDR) উদ্যোগে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এপিডিআরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটি ও জয়নগর শাখার উদ্যোগে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শান্তিবালা নস্কর। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের বনদফতরের তরফে জানানো হয়, কোর এরিয়ায় ঢোকার পর বাঘে টেনে নিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই। এরপরেই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, রুজি-রুটির তাগিদে জঙ্গলে ঢুকে বাঘের হানায় মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোর ও বাফার বাছবিচার করা চলবে না। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের ফলে আগামী দিনে বহু পরিবার উপকৃত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সাংসদ হিসাবে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে শুক্রে মনোনয়ন জমা অভিষেকের

বারাসতের টাকি রোডে নার্সিংহোমে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

‘মিথ্যা অভিযোগ’, মামলা তুলে নিতে চান সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ মহিলা

মোবাইল চুরি চক্রের পর্দা ফাঁস নিউ ব্যারাকপুর থানার

বঙ্গে রবিবার পর্যন্ত চলবে ঝড়-বৃষ্টি, আগামী সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা

কোটালের জেরে জলোচ্ছ্বাস সাগরে নদী বাঁধে ধ্বস ,আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর