নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস জানিয়েছিলেন। সিবিআই এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে তদন্তে সহযোগিতা করার কথাও বলেছিলেন তিনি। এর পর বুধবার ‘বাগদার রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশের পর বাগদার চন্দন মণ্ডলের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।
এদিকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও বাড়ি থেকে বেপাত্তা চন্দন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল। বুধবার তাঁর বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, চন্দন মন্ডল বাড়িতে নেই। তিনি কেথায় আছেন তাও তাঁরা জানেন না। চন্দনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন মামলায় উপেন বিশ্বাসকেও যুক্ত করার। উপেন বিশ্বাসকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে হাইকোর্ট। ১৫ জুন এ ব্যাপারে কোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রয়োজনে চন্দন মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার পর চন্দনের নামে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। উল্লেখ্য প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস একটি ভিডিও বার্তায় প্রায় বছর খানেক আগে দাবি করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাগদার রঞ্জন টাকার বিনিময়ে চাকরি দেন, চাকরি না দিতে পারলে সুদ সহ টাকা ফেরত দেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে।
সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় সৌমেনের হয়ে আদালতে লড়ছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বুধবার তিনি জানান, ৮৭ জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই মামলাতেই চন্দনের নাম উঠে এসেছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে উপেন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি আদালতকে সাহায্য করব। যদি দেখি, সিবিআই ঠিকমতো কাজ করছে না, তা হলে তা-ও আদালতকে জানাব। আমি ছাড়ব না।’