এই মুহূর্তে




৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠালো CBI

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির(School Recruitment Scam) ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) স্পেশ্যাল বেঞ্চ যে রায়(Special Division Bench Verdict) দিয়েছে গত সোমবার তাকে হাতিয়ার করেই এবার মাঠে নেমে পড়ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের ৪টি প্যানেল বাতিল করে দেয়। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। ওই রায়ে আদালতের এটাও নির্দেশ ছিল যে, অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই এদিন অযোগ্যদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিল ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্কুল শিক্ষা দফতরের(School Education Department) কাছ থেকে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা হাতে পাওয়ার পরেই তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে ঘটনা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া এই চাঞ্চল্যকর রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষ এবং চাকরিহারারা। আর তাই CBI ৫,২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে চেয়ে পাঠালেও এখনই তাঁরা সেই তালিকা তুলে দেবে কিনা তা নিয়ে খটকা থাকছে। এদিকে জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের জেরে এবার রাজ্যের জেলায় জেলায় থাকা District Inspector-রা সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি ফর্ম পাঠাচ্ছেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোন স্কুলে কতজন চাকরি হারাচ্ছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা District Inspector-দের কাছে সেটা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে থেকেই সেই তালিকা প্রস্তুত করে রেখে দিতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর।  

এদিন এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, তাঁরা তিনটি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য। তবে বাকিরা যে যোগ্য, তা জোর দিয়ে বলেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘আপাতত যে তথ্য আছে হাতে সেই মোতাবেক ওরা যোগ্য। তবে আগামীতে যে তথ্য উঠে আসবে সেই মোতাবেক বলব। এর বাইরে আমাদের পক্ষে বাকি প্রায় ১৯ হাজারকে এভাবে সার্টিফায়েড করা সম্ভব নয়। আমাদের তরফে কোনও তথ্য যায়নি, এই দাবি ভুল। আর সেই কারণেই আমরা এই তথ্য তুলে ধরলাম। অযোগ্যদের তালিকা হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল আদালতে। ১৩ ডিসেম্বর হলফনামা জমা দিয়েছিলাম। তাতে আদালত সন্তুষ্ট না হওয়ায় এরপর ১৮ ডিসেম্বর একটি হলফনামা দিই। সেখানে নবম দশমে ৭৭৫ জন যাঁদের সুপারিশপত্র ‘রুল ১৭’ প্রয়োগ করে প্রত্যাহার করেছি তাদের তালিকা দেওয়া হয়। হলফনামা নিয়ে আলোচনার সময় হাইকোর্টে আমি হাজির ছিলাম। ২০ ডিসেম্বর আমরা আরও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিই। যেখানে ৭৭৫ জনের পাশাপাশি ৩৩ জন যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়নি তাঁদের OMR ইস্যু ছিল তাঁদের নাম রোল নম্বর উল্লেখ করা হয়।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর