নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি(Chief Justice) টি এস শিবজ্ঞানম(T. S. Sivagnanam) শুক্রবার এজলাসের মধ্যেই মামলার শুনানিকালে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। যা কার্যত রাজ্য সরকারেরই প্রশংসার সামিল। আগামী ২১ জানুয়ারি কলকাতার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ISF’র তরফে সভা করার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন নাকচ হওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ সেই সভার অনুমতি দেয় ৯ দফা শর্তের সঙ্গে। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। তিনি মামলার রায় দেওয়ার সময়ও জানিয়ে দেন, ISF-কে ধর্মতলার পরিবর্তে এইবছর তাঁদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা করতে হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে(Netaji Indoor Stadium)।
এদিন মামলার রায় দেওয়ার সময় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ‘গত বছর এই সভা ঘিরেই ধর্মতলায় অশান্তি হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে আপনার মক্কেল এখনও অভিযুক্ত। জামিনে রয়েছেন। তাই এ বছরের সভাতেও কোনও অশান্তি হবে না, তা আদালত বিশ্বাস করে না। ওই একই দিনে শহরে ম্যারাথন রয়েছে। ওই রাজনৈতিক সভার থেকে ম্যারাথন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বরং রাজ্যের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র বা নেতাজি ইন্ডোরে সভা করুন।’ প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পরই রাজ্যের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা ISF-কে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করার অনুমতি দিচ্ছে। এ কথা শুনেই বিচারপতি সভাস্থলের প্রশংসা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘দারুণ জায়গা, আমি নিজে ওখানে গিয়েছে। ওখানেই সভাটা করুন। খুব সুন্দর জায়গা। আমিও সেখানে দুটো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। খুবই মনোরম। বসার আসনগুলি দারুণ। অডিয়ো সিস্টেম তো খুবই ভাল।’
যদিও সেই সময় ISF’র আইনজীবী জানান, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদ সিদ্দিকি প্রতিনিধিত্ব করবেন বলেই নওশাদের কর্মসূচি বন্ধ করতে এত প্রচেষ্টা করা হয়েছে।’ সেই কথা শুনে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানান, ‘সব ঠিক আছে এ বছর নেতাজি ইন্ডোরেই প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করুন। পরের বছর দেখব।’ তবে এ সবের পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়েছেন যে, এর পর জনস্বার্থ মামলায় সব কর্মসূচি তিনি বন্ধ করে দেবেন। ISF’র আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচি বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করতে আপনাকে আদালত বান্ধব নিয়োগ করব।’