নিজস্ব প্রতিনিধি: গরুপাচার কাণ্ডে নয়া মোড়। সিবিআই-এর পর ইডি’র হাতে গ্রেফতার হলেন গরুপাচারের মাথা এনামুল হক। এর আগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলমুক্ত হয়েছেন এনামুল। কিন্তু ফের একই মামলায় ইডি’র হাতে দিল্লিতে গ্রেফতার হলেন ওই ব্যবসায়ী। ইডি’র তরফে জানানো হয়েছে, গরুপাচারের টাকা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে কলকাতায় অনেক জায়গায় তাঁর মারফত টাকা গিয়েছে। কার কাছে ও কত টাকা গিয়েছে সেই বিষয়ে মুখ খুলছিলেন না এনামুল। তাই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রের আর্থিক তছরুপের তদন্তকারী সংস্থা।
শনিবারই দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে এনামুলকে। সূত্রের খবর, শনিবার এনামুলকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এনামুলের তরফে গরুপাচারের বিনিময়ে প্রচুর টাকা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছেছে। ইডি’র সূত্রে জানানো হয়েছে, এনামুলের তরফে বিদেশে অর্থাৎ বাংলাদেশ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যেও গিয়েছে টাকা। যার খোঁজ চালাতেই এনামুলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে একটি ডায়েরি উঠে এসেছে। সেটি এনামুলের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই ডায়েরি অনুযায়ী গরু পাচারকাণ্ডে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কে বা কারা এই টাকা পেয়েছেন, কোথা থেকে সেই টাকা এল, এর পিছনে আরও বড় কোনও মাথা রয়েছে কি না সমস্ত কিছু জানতেই এনামুলকে হেফাজতে নিয়ে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান বলেই দাবি সূত্রের।