নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লিতে(New Delhi) রাষ্ট্রপতি ভবনে জি-২০ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিকালেই ঘটেছিল সেই ঘটনা। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার মমতার রাজস্থানের(Rajasthan) আজমেরে(Ajmer) যাওয়ার কথা। কিন্তু ঠিক তার ঘন্টা ১২ আগে রাজস্থানেরই প্রতিবেশী তথা মোদির নিজ রাজ্য গুজরাতের পুলিশ(Gujrat Police) গ্রেফতার করল তৃণমূলের(TMC) জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে(Saket Gokhel)। গুজরাতের মোরবি সেতু বিপর্যয়ের(Morbi Bridge Collapse) ঘটনা নিয়ে টুইট করেছিলেন গোখেল। সেই টুইতের জেরেই সাইবার মামলায় গুজরাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে গোখেলকে। আর সেই ঘটনাকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি বলে তুলে ধরলেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে।
আরও পড়ুন পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গে রেল অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
ডেরেক তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘সাকেত গোখলের মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে করা একটি টুইটকে ঘিরে ভুয়ো মামলা সাজিয়েছে গুজরাট পুলিশ। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে জয়পুর(Jaipur) পৌঁছান সাকেত। রাজস্থানের বিমানবন্দর থেকেই গুজরাত পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। কেবলমাত্র মাকে ফোন করার জন্য সামান্য সময় পান গোখলে। এরপরই তাঁকে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর ফোনটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। বিজেপি রাজনৈতিক শত্রুতাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। কার্যত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তৃণমূল।’
আরও পড়ুন নিউটাউনে বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত ২০টির বেশি দোকান
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে গুজরাতের মোরবিতে সেতু ভেঙে পড়ে প্রায় দেড়শো জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে টুইট করে গুজরাত সরকারের ও বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাকেত। গতকালই ছিল গুজরাত বিধানসভার শেষ দফার নির্বাচন। সেই ভোট মিটতেই রাতারাতি গ্রেফতার করা হয়েছে সাকেতকে। গুজরাতে পুলিশের অভিযোগ, মোরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন সাকেত। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক রেষারেষিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক অভিষন্ধি চরিতার্থ করতেই এই গ্রেফতারি।