নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরভর প্রতীক্ষার অবসান। আজ শুক্রবার মহাষষ্ঠীর পুজো দিয়েই শুরু হল চলতি বছরের শারদোৎসব। সকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হল পুজোর মূল আনুষ্ঠানিকতা। আগামী মঙ্গলবার দশমীর মধ্য দিয়েই যার শেষ হবে। সকাল থেকেই ঢাকের আওয়াজ ও চণ্ডীপাঠে মুখরিত কলকাতা মহানগরী থেকে শুরু করে জেলার পুজো মণ্ডপগুলি।
শারদোৎসব উপলক্ষে গ্রাম থেকে শহর, বড় রাস্তা থেকে শুরু করে সরু গলি-সব আলোর রোশনাইয়ে ভেসে যাচ্ছে। যদিও তৃতীয়া থেকেই শহর ও শহরতলীর পুজোমণ্ডপগুলিতে নেমেছে দর্শনার্থীদের ঢল। আর সেই ভিড়ে বার বার থমকেছে শহর কলকাতা ও শহরতলীর গতি। গত কয়েক বছরের মতো এবারেও সাবেকিয়ানাকে টেক্কা দিয়েছে থিম পুজো।
উত্তরে যেমন ভিড় টানছে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো। যদিও গতকাল থেকেই শ্রীভূমির ডিজনিল্যান্ডের আলোর মায়াবী খেলা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তবুও দর্শনার্থিদের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তেমনই দক্ষিণে দর্শনার্থীদের স্রোত সুনামি হয়ে আছড়ে পড়েছে রাজ্যের দুই দাপুটে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমের পুজো হিসেবে পরিচিত ‘নিউ আলিপুর সুরুচি সঙ্ঘ’ ও ‘চেতলা অগ্রণী’তে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চমীতে বিকেল থেকেই কলকাতার রাস্তাগুলির দখল নিয়েছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। আজ সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে শেষ কর্মদিবস। অফিস ফেরত বাড়িমুখো অনেকেই পুজোমণ্ডপগুলিতে ঢুঁ মারতে পারেন বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। ফলে আজ বিকেল থেকে শহর অচল হওয়ার আশঙ্কায় বাড়তি পুলিশ নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।