নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই মর্মে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালতে বুধবার আবেদন জানান এনফর্সমেন্টের ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
গরু পাচার মামলায় আগেই তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মামলায় তদন্তে নেমে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। এবার এই মামলায় তৎপরতা শুরু করল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার মামলায় টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত করতে এবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির আধিকারিকরা। বুধবার সেই অনুমতি চেয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালতে আবেদন জানিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, গরু পাচারের টাকা কোথায় গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে প্রয়োজন হলে অনুব্রত মণ্ডলকেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লিতে।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে আগেই। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। সিবিআই সূত্রে খবর, সায়গল হোসেনে সম্পত্তির পরিমাণ চমকে দেওয়ার মতো। তাঁর প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। গোয়েন্দাদের মত, গরু পাচারের মতো একটি বড় কাজ কোনও একজন বা দুজন ব্যক্তির পক্ষে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এই চক্রের সঙ্গে অনেকে যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের শুনানি চলাকালীন সিবিআই এর আইনজীবী দাবি করেন, এনামুল হক গরু পাচার কাণ্ডের মূল মাথা। তার কাছে থেকে টাকা নিত সায়গল হোসেন। আর সায়গল সেই টাকাই পৌঁছে দিতেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কাছে। যিওদিও সিবিআইয়ের এই দাবি অস্বীকার করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।