নিজস্ব প্রতিনিধি: সড়ক পথে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে কলকাতায়(Kolkata) আসতে হলে এখন যে দুটি সেতু মূল মাধ্যম হিসাবে কাজ করে তা হল বিদ্যাসাগর সেতু(Vidyasgar Setu) ও নিবেদিতা সেতু। এদের মধ্যে সব থেকে বেশি যানবাহণ চলাচল করে বিদ্যাসাগর সেতু দিয়েই। কার্যত এই সেতুই এখন কলকাতায় সড়কপথে গঙ্গা পার করে প্রবেশ করার প্রধান রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সেতুর সঙ্গে বম্বে রোড বা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে(Kona Expressway) যা নবান্নের কাছে টোল প্লাজা থেকে শুরু করে সাঁতরাগাছি হয়ে নিবড়া অবধি গিয়েছে। কিন্তু নিত্যদিন সেই পথে দুর্ঘটনা, হতাহতের ঘটনা যেমন লেগেই রয়েছে তেমনি রয়েছে যানজটও। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এই রাস্তার ওপরেই একটি ফ্লাইওভার বা উড়াল্পুল নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন যা অনেকটাই কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের মতো হবে। সেই উড়ালপুল নির্মাণের জন্য টেন্ডার ডাকার পালা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বছরের মার্চ মাস থেকেই সেই উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাতে পারে।
আরও পড়ুন ট্রায়াল রানের দিনেই বাংলায় প্রশ্নের মুখে বন্দে ভারত
কলকাতার বুকে হাজারো ক্রশিং-সিগন্যাল, যানজট কাটিয়ে সেক্টর ফাইভ বা এয়ারপোর্ট যাওয়ার এখন মূল মাধ্যমই হয়ে উঠেছে ‘মা’ উড়ালপুল। আবার সল্টলেক, বাইপাস, নিউটাউনের দিক থেকে বিদ্যাসাগর সেতু যাওয়ারও মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে ‘মা’ ফ্লাইওভার। কারণ খুব দ্রুত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। মাঝে মাঝে তো এমন দৃশ্যও চোখে পড়ে যা নীচের রাস্তা যানজটহীন, কিন্তু ওপরে গাড়ির চাপে স্তব্ধ উড়ালপুল। এবার সেই উড়ালপুলের ধাঁচেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর উড়ালপুল নির্মাণের কাজ শুরু হতে চলেছে। নবান্ন ও ক্যারি রোড মোড়ের ঠিক মাঝামাঝি জায়গা থেকে সেই উড়ালপুর শুরু হবে এবং নিবড়ার আগে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে মিশে যাবে। যার জেরে উড়ালপুলের নীচের রাস্তায় বা মূল কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমবে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে এই উড়ালপুল হবে ৬ লেনের। সেতুটি তৈরি হতে ৩ বছর সময় লাগবে বলে ধরা হচ্ছে।