নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের দুই হেভিওয়েট এখন মাঠের বাইরে। দুইজনই তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী। একজনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যিনি এখন আছেন জেল হেফাজতে, অন্যজনের নাম অনুব্রত চট্টোপাধ্যায় যিনি এখন আছেন সিবিআইয়ের হেফাজতে। ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে এবার হয়তো তাঁর পালা। অন্তত বিজেপির নেতারা বার বার প্রকাশ্যে সেই দাবি করে চলেছেন। এই অবস্থায় স্বাধীনতা দিবসে(Independence Day)পতাকা উত্তোলন করে নিজেই প্রকাশ্যে বুক ঠুকে দাবি করলেন, তিনি কোনওদিন কোনও অনৈতিক কাজ করেননি। তিনি ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী। সোমবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার চেতলায় দলের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরহাদ এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ? কলকাতার মহানাগরিকের দাবি, ‘এখন রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের পিছনে ইডি(ED) সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভুয়ো মামলা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। মামলা করছে সিপিআইএম। আর লুফে নিচ্ছে বিজেপি। জীবনে কখনও অনৈতিক কাজ করিনি, করবও না। যদি কখনও প্রমাণ হয়, আমি কোনওভাবে অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাহলে ইডি–সিবিআইকে নয়, আমি আমাকে নিজেকে মৃত্যুদণ্ড দেব। আমাদের সবাইকে অপমান করা হচ্ছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।’ আর ফিরহাদের এই মন্তব্য নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে রাজ্যে ২০১১ সালে পরিবর্তনের পরে একাধিক তৃণমূল নেতা, জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে চেয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েই ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলাতে আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডিকেও পার্টি করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ফিরহাদ সহ তৃণমূলের মোট ৬জন নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক ওই মামলায় ইডিকে যুক্ত না করার দাবি জানিয়েছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। সেই মর্মে তাঁরা আদালতে আবেদনও জানান। কিন্তু এখনও আদালত ইডি-কে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। সূত্রে জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহেই ইডি এই মামলা নিয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট কিছু নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। ঠিক তার আগে এদিন ফিরহাদের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।